অভিষেক-মিথিলা-সবিতা-জিতেন্দ্র
ওয়েবের জগতে কনটেন্টই হিরো আর তার ছায়ায় চরিত্ররাও হয়ে ওঠে রক্তমাংসের মানুষ। সব চরিত্র হয়তো সফল হয় না। তারা হারিয়ে যায় ব্যর্থতার অন্ধকারে। কিন্তু সেই আলোআঁধারি ঘেরা বাস্তবের অলিগলিতেই তো আমজনতার জীবনযাপন। তাই বাড়িতে ফ্যানের হাওয়ার নীচে বিছানায় হেলান দিয়ে একাত্ম হয়ে যাওয়া যায় এ সব গল্পে। আর সেখানেই সফল ওটিটি কনটেন্ট ও চরিত্ররা। ওয়েবে স্টার পাওয়ারের চেয়ে বেশি জোরালো চরিত্রাভিনেতার অভিব্যক্তি। সেখানেই সফল এমন কিছু অভিনেতা, যাঁরা বড় পর্দায় পার্শ্বচরিত্র বা স্ট্রাগলার। কিন্তু ওয়েবের রাজা তাঁরাই।
ওয়েবেই যাঁদের পরিচিতি
আগে বিজ্ঞাপন বা ছোট সিরিজ়ে অভিনয় করলেও সেভাবে পরিচিতি পাননি এঁরা। ওয়েবই তাঁদের ‘সেলেব’নামা দিয়েছে। যেমন, সবিতা ধুলিপালা, মিথিলা পালকর, বিজয় বর্মার মতো অভিনেতারা। এঁদের প্রত্যেকেই আগে ছবিতে অভিনয় করলেও খ্যাতি পাননি। বরং ওয়েবের দৌলতে, ‘লিটল থিংস’-এর কাব্যা কুলকার্নি, ‘মেড ইন হেভন’-এর তারা খন্না, ‘শি’-এর সস্যাই যথাক্রমে মিথিলা, সবিতা ও বিজয়কে পরিচিতি দিয়েছে অভিনেতা হিসেবে। তাঁরা জনপ্রিয় হয়েছেন এই সব সিরিজের রিলিজ়েই। ‘মির্জ়াপুর’-এ আলি ফজ়লও চোখ টেনেছেন তাঁর অভিব্যক্তি ও বডি ল্যাঙ্গোয়েজে। ঝাঁ চকচকে র্যাম্পের পরিচিত মডেল অভিনেতা আলি সিরিজ়ে ‘গুড্ডু’র পেশিশক্তিতে বলীয়ান। দ্বিতীয় সিরিজ়েও দর্শক অপেক্ষা করছেন গুড্ডুর কামব্যাকের।
বড় পর্দার পাশাপাশি
অনেক তারকা আবার চরিত্রাভিনেতা হিসেবেই বড় পর্দা ও ওয়েব কাঁপাচ্ছেন একই সঙ্গে। ‘স্ত্রী’ ছবিতে ভিতু ‘জানা’কে ভূতে ধরার সেই দৃশ্য কে ভুলতে পারে? সেই ‘জানা’-ই আবার ‘হাতোড়া ত্যাগী’-র মতো খুনির চরিত্রে ভয়ঙ্কর। দুই চরিত্রের ম্যাজিক তৈরি করেছেন আদতে কাস্টিং ডিরেক্টর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্য দিকে জিতেন্দ্র কুমার অনেক দিন ধরেই ওয়েবে অভিনয় করলেও ‘শুভ মঙ্গল জ়াদা সাবধান’-এর পাশাপাশি নজর কেড়েছেন ‘পঞ্চায়েত’ ওয়েব সিরিজ়েও। একই কথা প্রযোজ্য জয়দীপ অহলওয়াতের ক্ষেত্রে। ‘রাজ়ি’ ছবিতে আলিয়া ভট্টকে ট্রেনিং দেওয়া সেই আত্মবিশ্বাসী ধোপদুরস্ত র’-এর অফিসার নিজেকে গুটিয়ে রাখে ‘পাতাললোক’-এ। কিন্তু সেই ব্যর্থতাও ছুঁয়ে যায় আমআদমির ঠোক্কর খাওয়া জীবনের সঙ্গে। আর ঠিক এখানেই সফল হয়ে যান জয়দীপ, অভিষেক, জিতেন্দ্ররা।
ছিলেন, আছেন, থাকবেনও
রসিকা দুগ্গল, শেফালি শাহ, অর্জুন মাথুরের মতো অভিনেতারা তো থাকছেনই। আগেও ছবি ও সিরিজ়ে বিভিন্ন চরিত্রে নজর কেড়েছেন। মূল চরিত্র নয়, বরং এঁদের নিজস্ব ঘরানা বলা যেতে পারে ‘চেরি অন দ্য কেক’। ছোট্ট কোনও চরিত্র, কিন্তু সেটাই শেষপর্যন্ত দাগ কেটে যায়। ‘মির্জ়াপুর’-এর রসিকার আবেদনও যেন এক বাটি চেরি ফলের মতোই। আবার ‘দিল্লি ক্রাইম’ ও ‘আউট অফ লাভ’-এ শেফালি, রসিকারা ভয়ঙ্কর। ‘মেড ইন হেভন’-এ সমকামী চরিত্রে দাগ কাটলেও অর্জুন এর আগেও বহু ছবিতে সুখ্যাতি পেয়েছেন।
ওয়েবের মায়াজালে বাঁধা পড়ছেন প্রায় সকলেই। অতিমারির হানায় বড় বড় ছবিও মুক্তি পাচ্ছে ওয়েবে। আক্ষরিকই মাকড়সার জালের মতো খুব সূক্ষ্ম ও মজবুত জাল বিস্তার করছে ওয়েব। সেই জাল তৈরির কারিগর বলা যেতে পারে এই ওয়েব-স্টারদের।
আরও পড়ুন: ছোট পর্দায় আরিয়ান
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy