অনুরাগীদের কারণে শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, দেবের মধ্যে দ্বৈরথ? ছবি: ফেসবুক।
‘হুমকি সংস্কৃতি’র নয়া নজির! শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে সমাজমাধ্যমে খোলাখুলি হুমকি দিলেন দেবের অনুরাগীরা। তাঁদের বক্তব্য, দেব যে দিন ছবিমুক্তি ঘটাবেন সেই দিনে শিবপ্রসাদ যেন ছবিমুক্তি না ঘটান। নির্দেশ না মানলে উইন্ডোজ় প্রযোজনা সংস্থার অন্যতম কর্ণধারকে ‘দেখে নেবেন’ তাঁরা। অকথ্য ভাষায় এই বার্তা তাঁরা সমাজমাধ্যমে লিখতে পিছপা হননি! সেই পোস্ট ভাগ করে নিয়েছেন কাহিনি-চিত্রনাট্যকার এবং প্রযোজক-পরিচালক-অভিনেতার স্ত্রী জিনিয়া সেন। পোস্ট ভাগ করে তিনি লেখেন, “ফ্যান ক্লাবের উপদ্রব এবং হুমকি সমাজমাধ্যমের ইদানীং কালের একটি পরিচিত অংশ। ছবিমুক্তির দিনে অবিরাম কটাক্ষ, পাল্টা ভোটিং আমাদের ছবিমুক্তিকে থামাতে পারেনি, পারবেও না।” তাঁর আরও দাবি, “টাকা দিয়ে কেনা আইটি সেল বা রাজনৈতিক শক্তির প্রতিযোগিতা যতই চলুক, এ ক্ষেত্রে আমরা ‘পুষ্পা’র দলে। ‘পুষ্পা’ যেমন বলেছিল, ‘হম ঝুকেগা নহিঁ...!’
শিবপ্রসাদের অনুরাগীরাই কি এই অপমানের পাল্টা জবাব দেবেন? না কি তিনি নিজেই? জানতে আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগের চেষ্টা করেছিল তাঁর সঙ্গে। শিবপ্রসাদ নীরব।
আইটি অফিস থেকে রাজনীতির ময়দান— ‘থ্রেট কালচার’ বা ‘হুমকি সংস্কৃতি’র প্রচলন নতুন নয়। দিন যত গড়াচ্ছে, তার রমরমাও বাড়ছে। প্রসঙ্গত, গত বছর আরজি কর-কাণ্ডের সময় থেকেই এই শব্দবন্ধের বহুল প্রচার বা ব্যবহার লক্ষণীয় হয়ে ওঠে। গত বড়দিনে চারটি ছবিমুক্তির সময়েও সেই সংস্কৃতির ছায়া সমাজমাধ্যমে পড়তে দেখা গিয়েছে। নাম না করে একাধিক পরিচালক-প্রযোজক বা অভিনেতা তির্যক মন্তব্য করেছেন। কটাক্ষের শিকারও হয়েছেন তেমনি। কিন্তু তাঁদের কোনও ফ্যান ক্লাব বা অনুরাগীদের তরফ থেকে এই ধরনের কোনও হুমকি মন্তব্য নজরে আসেনি। সেই জায়গা থেকে এই ধরনের আচরণ দেখে স্তম্ভিত নেটাগরিকেরা।
মুঠোফোনে সাড়া না দিলেও সমাজমাধ্যমেই মার্জিত প্রতিবাদ জানিয়েছেন জ়িনিয়া। তিনি পাল্টা লিখেছেন, “এই সমস্যা আজকের নয়! অনেক দিনের। অলিখিত নিয়ম অনুযায়ী, ব্যবসায়িক দিক থেকে আমাদের মতো ছোট প্রযোজকেরা আক্ষরিক অর্থেই বড় দিনে বা বিশেষ দিনে ছবিমুক্তি ঘটাতে পারি না। মেগাস্টারদের ছবিমুক্তির কারণেই।” জ়িনিয়ার আরও বক্তব্য, তিনি পাল্টা বক্তব্যে একেবারেই জানতে চাইছেন না যে, ‘তারকা’ তকমাধারীরা বছরের আর পাঁচটা সাধারণ দিনে কেন তাঁদের ছবিমুক্তি ঘটান না! কেনই বা তথাকথিত ‘ছোটখাটো’দের মতো তাঁদেরও ‘বিশেষ দিন’-এর প্রয়োজন পড়ে। তাঁর মতে, “ছবি তৈরি বা ছবিমুক্তি নিয়ে উইন্ডোজ় প্রযোজনা সংস্থা সত্যিই এ রকম কোনও প্রতিযোগিতায় যেতে চায় না। সংস্থার একটাই লক্ষ্য, শান্তিপূর্ণ ভাবে কাজ করা এবং একই ভাবে ছবিমুক্তি।” দেব নিজে বা তাঁর প্রযোজনা সংস্থা এই ঘটনা নিয়ে সমাজমাধ্যমে কোনও বক্তব্য রাখেননি।
হঠাৎ করে কেনই বা এই ধরনের আক্রমণের শিকার শিবপ্রসাদ? দেব বা তিনি মুখ না খুললেও টলিউডে চর্চা, পুজোয় শিবপ্রসাদের ‘বহুরূপী’ এবং দেবের ‘টেক্কা’ একসঙ্গে মুক্তি পেয়েছিল। ‘বহুরূপী’র ব্যবসা বাকিদের থেকে কয়েক গুণ এগিয়ে। এখনও সে ছবি সাফল্যের সঙ্গে গোটা রাজ্যে চলছে। পাশাপাশি, দেবের বড়দিনের ছবি ‘খাদান’ বক্স অফিসে নতুন নজির গড়েছে। সেই জায়গা থেকেই কি এই রেষারেষি? টলিউড এবং নেটাগরিকেরা উত্তর শোনার জন্য দেব এবং শিবপ্রসাদ— উভয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy