ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে নেওয়া।
ধার্মিক ব্যক্তিরা তাঁদের ইষ্টদেবতাকে তুষ্ট করার জন্য অনেক কিছুই করেন। এই রকমই একটি প্রাচীন রীতি পালনের ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমের পাতায় ভাইরাল হয়েছে। প্রাণের পরোয়া না করে, ধর্মরক্ষার উদ্দেশ্যে এক পাহাড় থেকে অন্য পাহাড়ে পাড়ি দিলেন এক প্রৌঢ়। তা-ও আবার সাধারণ একটি দড়ির সাহায্যে। ৪০ বছরের পুরনো ঐতিহ্য বাঁচিয়ে রাখতে দড়ির সাহায্যে এক পাহাড় থেকে অন্য পাহাড়ে গেলেন প্রায় ৬৫ বছর বয়সের সেই ‘তরুণ’। এমনই একটি ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমের পাতায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিয়োটি ভাইরালও হয়েছে। (যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন)।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী ঘটনাটি ঘটেছে হিমাচল প্রদেশে। শিমলায় অবস্থিত দলগাঁও নামের একটি গ্রামে প্রতি ৪০ বছর অন্তর একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করা হয়। সেই অনুষ্ঠানের নাম ‘ভুন্ডা মহাযজ্ঞ’। চার দিন ধরে এই অনুষ্ঠানটি পালিত হয়। এই বছর ২-৫ জানুয়ারি অবধি ‘ভুন্ডা মহাযজ্ঞ’ পালিত হয়েছে। নানা জায়গা থেকে শয়ে শয়ে মানুষ এই বিরল ও ঐতিহ্যবাহী ঘটনার সাক্ষী থাকার জন্য এই সময় শিমলার দলগাঁওয়ে আসেন। সেই অঞ্চলের মানুষদের বিশ্বাস, এই সংস্কার যদি নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করা হয়, তা হলে তাঁদের উপর দেবতার আশীর্বাদ বর্তাবে। এর ফলে কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলেও তাঁদের পড়তে হবে না।
সমাজমাধ্যমের পাতায় ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, দু’টি পাহাড়ের মাঝে সংযোগ স্থাপন করেছে একটি লম্বা দড়ি। দুই পাহাড়ের মাঝে প্রায় এক কিলোমিটার দূরত্ব। সেই দূরত্ব ঘুচিয়ে দুই পাহাড়ের মেলবন্ধন ঘটিয়েছে পাহাড়ি ঘাসের তৈরি সেই দড়ি, যার নাম ‘মুঞ্জি’। দুই পাহাড়ের মাঝের উপত্যকাটি ‘মৃত্যু উপত্যকা’ নামে পরিচিত। দড়িটিকে ধরে রেখেছে পাহাড়ের গায়ে বসে থাকা কয়েক জন তরুণ। সেই দড়ির উপর কাঠের পাটাতন রেখে, তার উপর বসে বিপরীত প্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকা পাহাড়ের দিকে যাত্রা শুরু করলেন প্রৌঢ়। যাত্রাপথ সহজ করার জন্য দড়িটির গায়ে তেল মাখানো হয়। ‘মৃত্যু উপত্যকা’র উপর দিয়ে এগিয়ে গেলেন তিনি। দড়ির নীচে একটি সাদা জাল বেঁধে রাখা ছিল, যাতে অপ্রত্যাশিত কিছু ঘটলে প্রৌঢ়কে রক্ষা করা যায়। এই ভিডিয়োই সমাজমাধ্যমের পাতায় ভাইরাল হয়েছে।
‘নীতেশচৌহানস’ নামের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে ভিডিয়োটি পোস্ট করা হয়েছে। ভিডিয়োটি ভাইরালও হয়েছে। ইতিমধ্যে বহু নেটাগরিক ভিডিয়োটি দেখে ফেলেছেন। ভিডিয়োটিতে লাইক ও কমেন্টের বন্যা বয়ে গিয়েছে। মন্তব্যবাক্সে নেটাগরিকেরা তাঁদের বিস্ময়ের প্রকাশ ঘটিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy