প্রতিবাদী শ্রীলেখা মিত্র। নিজস্ব চিত্র।
তিনিই ঠিক, আরও এক বার প্রমাণ করলেন শ্রীলেখা মিত্র। চার বছর আগে তিনিই সাহস করে টলিউডে নারী নিগ্রহের বিষয়ে মুখ খুলেছিলেন। জানিয়েছিলেন, বাংলা বিনোদন দুনিয়াতেও ‘কম্প্রোমাইজ়’ চলে। একই সঙ্গে টলিউডের প্রথম সারির খ্যাতনামীদের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন। মঙ্গলবার, টেলি অ্যাকাডেমি, ইমপা, আর্টিস্ট ফোরাম, ফেডারেশনের সভাপতির উদ্দেশে বিনোদন দুনিয়ার সমস্ত স্তরের মহিলা খ্যাতনামীদের স্বাক্ষর সম্বলিত চিঠিতে ‘নারী সুরক্ষা কমিটি’র কথা উঠতেই ফের সরব তিনি। সমাজমাধ্যমে তোপ দেগেছেন, তাঁর কথাই সত্যি হল। অথচ, সেই সময় কেউ তাঁকে বিশ্বাস করেননি। উল্টে ‘মিথ্যেবাদী’ তকমা দেওয়া হয়েছিল।
৯ অগস্ট থেকে আরজি কর-কাণ্ডে উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি, গোটা দেশ। তরুণী চিকিৎসকের নির্যাতন-মৃত্যু নারীসুরক্ষা নিয়ে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করছে সকলকে। মালয়ালম ছবির দুনিয়া থেকে বলিউড হয়ে টলিউড। বিনোদনের দুনিয়া আলাদা হলেও সমস্যা এক। অভিনেত্রী থেকে টেকনিশিয়ান— কোনও না কোনও ভাবে হেনস্থার শিকার। যার জেরে দক্ষিণী বিনোদন দুনিয়ায় হেমা কমিটি তৈরি হয়েছে। যাকে অনুসরণ করে বলিউডের জন্য এমনই এক কমিটি বানাতে চলেছে মহারাষ্ট্র সরকার। গত আট দিন ধরে একই ভাবনা বাংলা বিনোদন দুনিয়ারও।
সে কথা প্রকাশ্যে আসতেই শ্রীলেখার ব্যঙ্গ, “হাসব না কাঁদব, জানি না। অবশেষে এখানেও ‘উইমেন্স ফোরাম’ তৈরি হচ্ছে! অথচ, এ সবের বিরুদ্ধে সকলের প্রথমে যে মুখ খুলেছিল, তার নাম নেই!” অভিনেত্রীদের স্বাক্ষর-তালিকায় তাঁকে যে রাখা হয়নি, সে কথাই জানিয়েছেন তিনি। বিস্ফোরক শ্রীলেখা অতীত মনে করিয়ে দিয়ে লিখেছেন, “সকলে বলেছিলেন, আমি নাকি ‘ভিকটিম কার্ড’ খেলছি! আমার যোগ্যতা নেই। আমার খামতির জন্যই কাজে নেওয়া হয় না। যাঁরা এ সব কথা বলেছিলেন, আজ তাঁরাই একজোট।” এ বার শ্রীলেখা পাল্টা এই প্রচেষ্টাকে ‘নাটক’ আখ্যা দিয়েছেন।
তা হলে কি আদৌ ‘নারী সুরক্ষা কমিটি’ হবে না? না কি হলেও অন্যায়ের বিচার হবে না? যোগাযোগ করে তাঁর কাছে প্রশ্ন রেখেছিল আনন্দবাজার অনলাইন। অভিনেত্রীর দাবি, “আমার যা বক্তব্য, তা সমাজমাধ্যমে সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছি। এর আগেও অনেক বার বলেছি। বিষয়টি নিয়ে আলাদা করে আর কিছুই বলার নেই।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy