(বাঁ দিক থেকে) সৃজিত মুখোপাধ্যায়, রাহুল মুখোপাধ্যায় এবং মিঠুন চক্রবর্তী। —ফাইল চিত্র।
রাহুল মুখোপাধ্যায়ের ভাগ্যে কি এ বছরের পুজোমুক্তি নেই? এমনই খবর টলিউডের আনাচেকানাচে। শুক্রবার থেকে এসভিএফ প্রযোজিত ছবির শুটিং শুরুর কথা ছিল। এ দিন শুটিং হয়নি। এর পরেই খবর ছড়ায়, আপাতত ছবির শুটিং নাকি হবে না।
পরিচালক-টেকনিশিয়ান দ্বন্দ্বের শেষে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে রাহুল ফের পরিচালকের কুর্সি ফিরে পান। ১৬ অগস্ট অর্থাৎ গতকাল প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়- অনির্বাণ ভট্টাচার্যের উপস্থিতিতে শুটিং শুরুর কথা ছিল। এও শোনা গিয়েছিল, হাসপাতালের গুরুত্বপূর্ণ দৃশ্য এ দিন ক্যামেরাবন্দি হবে। হঠাৎ তাতে দাঁড়ি পড়ল কেন?
একাধিক কারণ টলিপাড়ার অন্দরে ঘুরছে। প্রথম এবং প্রধান কারণ, মাত্র ৪৫ দিনের মধ্যে শুটিং, এডিটিং, ডাবিং, আবহ সঙ্গীত, গান, কালার কারেকশন, সাউন্ড মিক্সিং, সেন্সরের ছাড়পত্র এনে ছবিমুক্তি প্রায় অসম্ভব। দ্বিতীয় কারণটিও ভাবার মতো। কাকতালীয় ভাবে ছবির গল্প আর আরজি কর-কাণ্ডে মিল রয়েছে। দক্ষিণী ছবি ‘গরুড়ন’-এ এক ধর্ষিতাকে কেন্দ্রে রেখে প্রশাসন-অপরাধীর দ্বৈরথ দেখানো হয়েছে। রাহুলের ছবি তারই বাংলা রূপান্তর। এই মুহূর্তে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের বিচার চেয়ে বাংলা উত্তাল। পুজোয় পর্দায় বাস্তব-কল্পনা একাকার হয়ে গেলে আগুনে নতুন করে ঘি পড়ার সম্ভাবনা প্রবল।
তা হলে শূন্যস্থান পূরণ করবেন কে? বাংলা বিনোদন দুনিয়া বলছে, এমন কোনও বছর আসেনি যে বছরে পুজোয় এসভিএফের ছবি মুক্তি পায়নি। আর এই জায়গা থেকে উঠে আসছে দু'জনের নাম। সৃজিত মুখোপাধ্যায় এবং মিঠুন চক্রবর্তী। পরিচালকের দু'টি ছবি আপাতত হাতে। ‘টেক্কা’, ‘সত্যি বলে সত্যি কিছু নেই’। দু’টিরই সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে এই মুহূর্তে। একই ভাবে মিঠুন চক্রবর্তীর দু'টি ছবি রয়েছে। একটি পথিকৃৎ বসুর ‘শাস্ত্রী’, অন্যটি রাজ চক্রবর্তীর ছবি। এ বারের পুজো তাই তাঁরও হতে পারে।
তবে নিন্দকেরা সৃজিতের পাল্লা ভারী দেখছেন আরও একটি কারণে। ছবি ঘোষণার শুরুতে এমনও গুঞ্জন ছিল, প্রসেনজিৎ-অনির্বাণের জুটিকে রাহুল পুজোয় ফিরিয়ে আনায় আপত্তি ‘পদাতিক’ পরিচালকের। কারণ, তাঁর গত পুজোমুক্তি ‘দশম অবতার’ বাণিজ্যসফল ছবি এই জুটির কারণে। তাঁর তৈরি সফল জুটিকে অন্য কেউ ব্যবহার করবেন, এটা হয়?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy