সৌজন্য ও গুনগুন
অবাক হওয়ার কী আছে? যে নিজের বর দেখতে সবার আগে দৌড়োয়, বরযাত্রীর সঙ্গে নেচেকুঁদে বরকে বিয়ের মণ্ডপ পর্যন্ত অভ্যর্থনা জানিয়ে নিয়ে আসে, বৌভাতের সন্ধেয় মনখারাপ কমাতে শ্বশুরবাড়ির সবাইকে নিয়ে ট্যুইস্ট নাচে, সে এ রকমটা করতেই পারে। বরং গুনগুনকেই এসব মানায়।
‘মোহর’-এ মোহর-শঙ্খের ফুলশয্যা দেখার পর তৃপ্ত দর্শকেরা সৌজন্য-গুনগুনের ফুলশয্যা দেখার জন্য মুখিয়েই ছিলেন। পর্বের ট্যাগলাইনেও ছিল সে রকম কিছু ঘটার ইঙ্গিত, ‘কী জানি কী হয়...?’ সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা ভিডিয়ো বলছে, ‘খড়কুটো’ ধারাবাহিকের ট্যাগলাইন এবং চিত্রনাট্যের মধ্যে অদ্ভুত সামঞ্জস্য।
এক ছাদের নীচে প্রথম রাত কাটাতে গিয়ে কী করল সৌজন্য আর গুনগুন?
মধ্যিখানে পাশবালিশ! খাটের দু’পাশে সৌজন্য ও গুনগুন। রাত নামলেও ঘুম নামেনি গুনগুনের চোখে। কারণ একাধিক। প্রথমত, গুনগুনের বৌদিভাই, ননদ শিখিয়ে দিয়েছে প্রথম রাতেই বেড়াল মারতে। মানে, সৌজন্যকে ভালবাসায় বশ করতে হবে। তার জন্য সৌজন্যকে চুমু খাওয়া একান্ত জরুরি। দ্বিতীয় কারণ, অনন্যা ফোনে অকপটে স্বীকার করেছে, সে ভালবাসে সৌজন্যকে। ৩৬৫ দিন পরে গুনগুন বাবার বাড়িতে ফিরে গেলেই সে বিয়ে করবে সৌজন্যকে। সৌজন্য শুধুই তার।
অনন্যার এই কথা ধাক্কা দিয়েছে গুনগুনকে। জন্ম নিয়েছে চাপা কষ্টও।
আরও পড়ুন: অতীতের মুখোমুখি আমিশা, কান্না ধরে রাখতে পারলেন না অভিনেত্রী
দুই অনুঘটকের তাড়নায় দূরত্ব মেটাতে গা ঘেঁষে শুয়েছে সে সৌজন্যের। পাশবালিশটিকেও সরিয়ে দিয়েছে কায়দা করে। কাণ্ড দেখে অস্বস্তিতে পড়ে যদিও প্রশ্ন তুলেছে সৌজন্য, ‘‘কী, সমস্যাটা কী? ওই দিকে জায়গা আছে, এ দিকে আসছ কেন! আমি পড়ে যাব।’’সঙ্গে সঙ্গে গুনগুনের ছক্কা, ‘‘ফুলশয্যার রাতেই বা তুমি এত দূরে দূরে যাচ্ছ কেন! হ্যাঁ?’’শুনে সৌজন্য ছিটকে খাটের উপরে উঠে বসতেই গালে গুনগুনের চুম্বন। বেশ কয়েক হাজার ভিউয়ার্স কয়েক সেকেন্ডের ক্লিপিংস দেখতে হামলে পড়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
এমন মিষ্টি দাম্পত্য বহু যুগ আগে ‘বালিকা বধূ’ কিংবা ‘সমাপ্তি’-তে দেখেছিল বাঙালি।
আরও পড়ুন: ক্রিসমাসের শুভেচ্ছাবার্তায় বাছবিচার করলেন কঙ্গনা রানাউত!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy