অভিনেত্রী জিয়া খান আত্মহত্যা মামলায় বুধবারই আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছিল সিবিআই। চার্জশিটে সুরজ পাঞ্চোলির বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া ও তথ্য গোপনের অভিযোগ ছিল। তদন্তে এ বার সামনে উঠে এল আত্মহত্যার কারণও।
২০১৩-র ৩ জুন, আত্মহত্যার দু’দিন আগে জিয়া ছিলেন সুরজের সঙ্গেই। জিয়া সন্তানসম্ভবা এ কথা জানতে পেরে চিকিৎসকের পরামর্শ নেন তাঁরা। গর্ভপাতের জন্য ওষুধ খেয়ে রক্তপাতজনিত কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েন জিয়া। ভ্রূণ শরীরের বাইরে বেরোতে না পারায় পরিস্থিতি জটিল হয়। সুরজের ভয় ছিল এই সম্পর্কের কথা জানাজানি হলে শুরু হওয়ার আগেই তাঁর ফিল্মি কেরিয়ারে খারাপ প্রভাব পড়তে পারে। বরং বাড়িতে নিজেই মৃত ভ্রূণটি বার করে বাথরুমে ফেলে দেন তিনি। এই ঘটনার পরেই মানসিক অবসাদে ভুগতে শুরু করেছিলেন জিয়া। তিন পাতার সুইসাইড নোটে জিয়া লিখেছিলেন, এর পর থেকেই সুরজ তাঁকে এড়িয়ে চলতেন। জিয়ার মা রাবেয়া দাবি করেছেন, এই সময়েই জিয়া জানতে পেরেছিলেন যে তাঁরই এক বান্ধবীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠছে সুরজের। মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছিলেন জিয়া। তাই শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যা করেন বলেই মনে করছে তদন্তকারীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy