(বাঁ দিকে) অভিষেক বচ্চন ও সিমি গাঢ়েওয়াল (ডান দিকে) ছবি: সংগৃহীত।
নিমরত কৌরের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন অভিষেক বচ্চন! গত এক মাসে অভিষেক-ঐশ্বর্যার বিচ্ছেদের জল্পনায় নতুন করে ঘি ঢেলেছে এই গুঞ্জন। বলিউড ছাড়িয়ে এখন সারা দেশে আলোচনার কেন্দ্রে জুনিয়র বচ্চনের ব্যক্তিগত জীবন। সমাজমাধ্যমে দৃষ্টিকটু ভাবে মিম ছড়াচ্ছে ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন ও নিমরত কৌরকে নিয়ে। এর মধ্যে সেই সমাজমাধ্যমেই সরাসরি অভিষেকের পাশে দাঁড়ালেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী সিমি গাঢ়েওয়াল। কিন্তু পরে আবার পিছিয়েও এলেন।
সম্প্রতি তিনি সমাজমাধ্যমের পাতায় ভাগ করে নিয়েছেন পুরনো একটি ভিডিয়ো। যেখানে পরকীয়া বা সম্পর্কের বিশ্বস্ততা প্রসঙ্গে কথা বলেছেন অভিষেক বচ্চন। বেশ কয়েক বছর আগে সিমির অনুষ্ঠান ‘রঁদেভু’-তে যোগ দিয়েছিলেন অভিষেক। সেখানেই স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে সিমি তুলে আনেন অভিষেকের ব্যক্তিগত জীবনের প্রসঙ্গ। নিজের অনুষ্ঠানে খুব সাবলীল ভাবে তারকাদের ব্যক্তি জীবন, নানা ধরনের বিতর্কের প্রসঙ্গে তুলে আনতেন সিমি। অভিষেকের সঙ্গেও তাঁর দীর্ঘ দিনের জানাশোনা। তাই সহজেই প্রশ্ন করেছিলেন সম্পর্ক ও সম্পর্কের বিশ্বস্ততা নিয়ে। এর উত্তরে অভিষেক জানিয়েছিলেন, যাঁরা একসঙ্গে একাধিক সম্পর্কে জড়ান তাঁদের নিয়ে তাঁর কোনও সমস্যা নেই সে ভাবে। কিন্তু তিনি আরও বলেন, “যদি কাউকে প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকেন, সেটা যে কোনও পর্যায়েরই হোক না কেন, তা হলে তা রক্ষা করার চেষ্টা করতেই হবে। না হলে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ না হওয়াই ভাল। একজন পুরুষ হিসাবে আমি মনে করি, যদি কোনও নারীকে প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকেন, তা হলে তাঁকে যদি অন্য কোনও পুরুষের সঙ্গেও আবিষ্কার করে থাকেন, তখনও তাঁর প্রতি বিশ্বস্ত থাকবেন।” পুরুষের অবিশ্বস্ততার প্রসঙ্গেও বিরক্তি প্রকাশ করেন অভিষেক। তিনি সাফ বলেন, “প্রায়ই অভিযোগ ওঠে, পুরুষেরা নাকি মোটেও বিশ্বস্ত নন। এর অর্থ আমি বুঝতেই পারি না। আমি এর সঙ্গে একমতও নই। খুবই বিরক্তিকর।”
এই ভিডিয়োটি ভাগ করে সিমি লিখেছেন, “রঁদেভু রত্ন। আমার মনে হয় যাঁরা অভিষেককে ব্যক্তিগত ভাবে চেনেন তাঁরা আমার সঙ্গে একমত হবেন যে ওঁর মতো সুবিবেচক মানুষ বলিউডে কমই আছেন।” এই পোস্টে মন্তব্য করেছেন ফারহা খানও। ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’ ছবিতে ফারহা কাজ করেছিলেন অভিষেকের সঙ্গে। তিনি লিখেছেন, “আমি তোমার সঙ্গে (সিমির) সম্পূর্ণ একমত।”
কিন্তু সিমিকে ছাড় দেননি নেটাগরিকেরা। তাঁরা সরাসরি প্রশ্ন করেছেন, সিমি কি অভিষেককে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন? পরিস্থিতি এমনই পর্যায়ে পৌঁছয় যে, খানিক পরে ওই পোস্ট মুছে ফেলেন সিমি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy