শ্বেতা
শিশুশিল্পী হিসেবে ঈর্ষণীয় সাফল্য। ক্যামেরার পিছনেও কাজ করেছেন চুটিয়ে। বিতর্কে নাম জড়িয়েছে। বিয়ের এক বছরের মধ্যে সম্পর্কও ভেঙেছে। তবু কাজের জোরে আবারও খবরে শ্বেতা বসু প্রসাদ। ডিজ়নি প্লাস হটস্টারের জনপ্রিয় শো ‘হস্টেজেস টু’-এ ইন্টেলিজেন্স বুরো অফিসার শিখার চরিত্রে তিনি। ‘‘আমার ঠাকুরদা ইন্টেলিজেন্স বুরো-র অফিসার ছিলেন। তাই এই চরিত্রটা দাদুকে ট্রিবিউট দিলাম। আমার চরিত্রটা রণিত রায়ের প্যারালাল ট্র্যাকে। কমবয়সি, মহিলা অফিসার বলে গল্পে শিখাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয় না,’’ বললেন শ্বেতা।
বাংলা ছবি ‘এক নদীর গল্প’-এর প্রিমিয়ারে বছর পাঁচেক আগে কলকাতায় এসেছিলেন অভিনেত্রী। ‘‘ক্যালকাটা ক্লাবে ছিলাম। ফ্লুরিজ়ে গিয়েছিলাম। ওই ছবিটার পরে মিঠুন স্যরের (চক্রবর্তী) সঙ্গে ‘দ্য তাসখন্দ ফাইলস’-এ কাজ করেছি। বাংলা লিখতে, পড়তে, বলতে...সবটাই পারি। বড় বড় করে বোল্ড হরফে লিখবেন, বাংলায় কাজ করতে চাই। শুধু ছবি নয়, ওয়েব সিরিজ়েও,’’ অনুরোধ অভিনেত্রীর।
শিশুবয়সে জাতীয় পুরস্কার পাওয়া (‘মকড়ি’ ছবির জন্য) কি বাড়তি চাপ তৈরি করে? ‘‘আমার মা-বাবা ঠিক সময়ে ঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ‘মকড়ি’ এবং ‘ইকবাল’-এর পরে মধুর ভান্ডারকরের ‘ট্রাফিক সিগন্যাল’ এবং রাজকুমার সন্তোষীর ‘হল্লা বোল’-এর প্রস্তাব পেয়েছিলাম। বাবা-মা রাজি হননি। তার পরে মাস কমিউনিকেশন নিয়ে স্নাতক হলাম। ক্যামেরার পিছনে অনেক কাজ করেছি। যেমন, শাস্ত্রীয় সঙ্গীত নিয়ে একটি ডকুমেন্টারি বানিয়েছিলাম, যেটা নেটফ্লিক্সে রয়েছে। শর্টফিল্ম বানিয়েছি। ফ্যান্টম ফিল্মস-এ স্ক্রিপ্ট কনসালট্যান্ট হিসেবে কাজ করেছি। অনুরাগ কাশ্যপকে অ্যাসিস্ট করেছি। কাজ ভালবাসি। যে ফরম্যাটে হোক, কাজ করে যেতে চাই,’’ বক্তব্য তাঁর।
এ বছর ওটিটিতে তাঁর পাঁচটি রিলিজ় রয়েছে। জ়ি ফাইভে মুক্তি পেয়েছিল ছবি ‘শুক্রাণু’। এর পরে ওই প্ল্যাটফর্মেই আসবে সাকিব সালেমের সঙ্গে ছবি ‘কমেডি কাপল’। বছরের শেষে সুধীর মিশ্রের পরিচালনায় নেটফ্লিক্স ছবি ‘সিরিয়াস মেন’-এ দেখা যাবে শ্বেতাকে। ছবিতে মুখ্য চরিত্রে নওয়াজ়উদ্দিন সিদ্দিকি।
সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যুর পর থেকে ইন্ডাস্ট্রিকে যে ভাবে কালিমালিপ্ত করা হয়েছে, তার বিপক্ষে বলতে চেয়েছেন শ্বেতা। ‘‘সব শুনে মনে হচ্ছে, এখানে মাতালেরা ঘুরে বেড়ায়। একদমই সেটা নয়। এখানে যাঁরা কাজ করতে আসেন, তাঁরা শিক্ষিত, ভদ্র পরিবারের। আর কোন ইন্ডাস্ট্রিতে পথভ্রষ্ট মানুষ নেই বলুন তো? ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকে সফট টার্গেট বানানো হচ্ছে। প্রোডিউসার্স গিল্ড থেকে যে খোলা চিঠি দিন কয়েক আগে প্রকাশিত, আমি তা পূর্ণ সমর্থন করি।’’
২০১৮ সালে রোহিত মিত্তলের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন শ্বেতা। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই ডিভোর্স। ‘‘জনপ্রিয় বলেই লেখালিখি হয়। কিন্তু ব্যক্তিজীবন নিয়ে কথা বলব না,’’ সাফ জবাব তাঁর।
ছবি-সিরিজ়ের প্রচারের সঙ্গে লকডাউনে প্রচুর ছবি দেখেওছেন শ্বেতা। ‘‘আটটা গল্পের বই পড়েছি। একশোর বেশি ছবি-সিরিজ় দেখেছি। একটা স্ক্রিপ্টও লিখেছি। আর ঘর ঝাঁট দেওয়া ভাল এক্সারসাইজ়, এটা বুঝেছি। তাই লকডাউন উঠলেও ওটা চালিয়ে যাচ্ছি,’’ হাসতে হাসতে বললেন শ্বেতা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy