প্রেমিকের সঙ্গে বিচ্ছেদের ১৫ দিন পর, গত ২৪ ডিসেম্বর সিরিয়ালের সেটে জীবন শেষ করে দিয়েছেন তুনিশা। ফাইল চিত্র।
নীরবতার অর্থ এই নয় যে তাঁরা দুর্বল, কিংবা দোষী! দাদা শীজ়ান খানের সঙ্গে অন্যায় হচ্ছে, দাবি করছেন তাঁর দুই বোন শফক নাজ় এবং ফলক নাজ়। অভিনেত্রী তুনিশা শর্মার মৃত্যুরহস্যের তদন্ত চলছে। ঘটনায় অভিযুক্ত অভিনেতা শীজ়ানকে আরও ১৪ দিন পুলিশের হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সেই পরিস্থিতিতে পাল্টা অভিযোগ তুলল শীজ়ানের পরিবার।
সমাজমাধ্যমে শীজ়ানের নামে যাচ্ছেতাই কুৎসা রটেছে। তাঁকে ‘খুনি’র তকমা দিয়ে দেওয়া হয়েছে বিচারের আগেই। সেই পরিস্থিতিতে মুখ খুললেন শীজ়ানের বোনেরা। বললেন, “আমাদের যন্ত্রণা প্রকাশ করার ভাষা নেই। চুপ করে ছিলাম বলে উল্টো বুঝলেন সবাই। আমাদের দুর্বল ভাবা হল। এ তো ঘোর কলি! যা খুশি বলে দেওয়ার আগে একটু তো খতিয়ে দেখার প্রয়োজন পড়ে! মানুষের কি বোধবুদ্ধি লোপ পেয়ে গেল?”
এত হিংসার মূলে অন্য কিছু নিহিত নেই তো? সেই আশঙ্কায় সপাট প্রশ্ন ফলকের, “যাঁরা শীজ়ানকে নিয়ে খারাপ কথা বলছেন, এক বার ভেবে দেখুন, সমস্যাটা কোথায়। ধর্মের প্রতি ঘৃণা থেকে এই কাজ করছেন না তো আপনারা? নাকি আগের কোনও ঘটনার প্রেক্ষিতে এটাকে গুলিয়ে ফেলছেন?” সকলের কাছে তাঁর আর্জি জেগে ওঠার। মাথা দিয়ে ভাবার। সমস্ত সংবাদমাধ্যম এবং পোর্টালও শীজ়ানের বিরুদ্ধে জনমত গঠন করার ইন্ধন জোগাচ্ছে বলে অভিযোগ জানিয়েছেন দুই বোন।
অন্য দিকে, শীজ়ানের দাবি, তাঁর নিজেরই জীবনের ঝুঁকি রয়েছে। কেউ তাঁকে বিষ খাইয়ে হত্যা করতে চায় বলে তাঁর ধারণা। সে জন্য হাজতে থাকাকালীন বাড়ির তৈরি খাবার খেতে চান বলে আবেদন জানিয়েছেন তুনিশার প্রাক্তন প্রেমিক তথা সহকর্মী।
প্রেমিকের সঙ্গে বিচ্ছেদের ১৫ দিন পর, গত ২৪ ডিসেম্বর সিরিয়ালের সেটে জীবন শেষ করে দিয়েছেন তুনিশা। যে ঘটনা বিনোদন দুনিয়ায় আলোড়ন ফেলেছে। ‘আত্মহত্যা’ বলে মানতে পারছেন না তুনিশার মা বনিতা শর্মা। তাঁর দাবি, প্রেমিক তথা সহ-অভিনেতা শীজ়ানই তুনিশার মৃত্যুর জন্য দায়ী। তাঁর দাবি, মাদক সেবন করতেন অভিনেতা। আরও একাধিক নারীর সঙ্গে সম্পর্কে থেকে তুনিশাকে ঠকিয়েছেন বলেও অভিযোগ। শুধু তা-ই নয়, তুনিশাকে বিয়ের প্রস্তাবও নাকি দিয়েছিলেন শীজ়ান। তুনিশার মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ গ্রেফতার করেছিল শীজ়ানকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy