কী লেখা ছিল তুনিশার ট্যাটুতে? ফাইল চিত্র।
অভিনেত্রী তুনিশা শর্মার অকালমৃত্যু ঘিরে একের পর এক তথ্য উঠে আসছে। দেখতে দেখতে সাত দিন পার। তুনিশার মৃত্যুর খবর মেনে নিতে পারছেন না তাঁর সহ-অভিনেতারাও। অভিনেতা বিশাল জেঠওয়া এবং তুনিশা ভাল বন্ধু ছিলেন। তাই তো বন্ধুর চলে যাওয়া মেনে নিতে পারছেন না বিশাল। এমন শক্ত মনে মেয়ে এমন সিদ্ধান্ত কী ভাবে সেই প্রশ্নই ঘুরে চলেছে তাঁর মাথায়।
তুনিশার সঙ্গে নিজের বেশ কিছু ছবি ভাগ করে নিয়ে বিশাল লেখেন, “তুমি তোমার ভালবাসার মানুষদের ছেড়ে এই ভাবে চলে যাবে আমি ভাবতে পারছি না। স্বপ্ন ছিল তুমি রাধা হবে আর আমি কৃষ্ণের চরিত্রে অভিনয় করব। প্রচুর অভিযোগ জমা হয়ে আছে। কত ইচ্ছাপূরণ হল না।” তুনিশা যে তাঁর প্রেমজীবন নিয়ে অনেকটা মগ্ন হয়ে পড়ছেন, আর কারও দিকে খেয়াল নেই , সেই বিষয়টা লক্ষ করেছিলেন বিশাল।
তুনিশার হাতের ট্যাটুতে লেখা ছিল, “সব কিছুর ঊর্ধ্বে ভালবাসা।” যাঁর মানে স্পষ্ট, শীজ়ানের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে থাকাকালীন নিজের কথাও ভুলতে বসেছিলেন তিনি। আর তাতেই আপত্তি ছিল বিশাল। তিনি লেখেন, “আমি তোমার হাতের ট্যাটু লক্ষ করেছিলাম। খুব বলতে ইচ্ছা হচ্ছিল যে নিজেকে আগে ভালবাসো। তার পর অন্যকে ভালবাসবে। আর কোনও মানুষের প্রতি এতটাও মগ্ন হয়ে যেয়ো না যে, সেখানে নিজের সত্তাকে বিসর্জন দিতে হয়।”
শীজ়ানের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর পরই নানা রকম সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছিল তুনিশা, এমনটাই দাবি তাঁর পরিবারেরও। তুনিশার মৃত্যু ‘লভ জিহাদ’-এর ফল, আগেই দাবি করেছিলেন অভিনেত্রীর কাকা। এ বার সেই প্রসঙ্গে বিস্ফোরক সব দাবি করলেন মৃতার মা। ধর্ম যাতে বাধা না হয়ে দাঁড়ায়, সে জন্য হিজাব পরতে শুরু করেছিলেন, আগেই জানান অভিনেত্রীর মা। এ বার বনিতা শর্মার অভিযোগ শীজ়ানের পরিবারের বিরুদ্ধে— তারা নাকি তুনিশাকে ব্ল্যাকমেল করত। শুধু তাই নয়, উর্দু শিখতে জোর করেছিল তারা। যদিও আসল কারণ এখনও অজানা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy