মিঠুন চক্রবর্তী। ছবি: সংগৃহীত।
মিঠুন চক্রবর্তী ও শক্তি কপূর বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেতা। দু'জনেই তাঁদের কেরিয়ারের শুরু দিকে বেশ কিছু ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছেন। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ‘ডান্স ডান্স’, ‘বাদল’, ‘প্যায়ার কা কর্জ’, ‘গুন্ডা’। একটা দীর্ঘ সময় ইন্ডাস্ট্রিতে কাটানোর পর মিঠুনকে নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করলেন শক্তি। বললেন, মিঠুন নাকি তাঁকে র্যাগিং করেছিলেন। এমনকি, তাঁর চুল কেটে অন্ধকার ঘরে বন্ধ করে রাখেন। কাকুতি-মিনতিতেও লাভ হত না কিছুই।
মিঠুন ও শক্তি দু'জনেই পুণের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউশনের ছাত্র ছিলেন। মিঠুন ছিলেন শক্তির সিনিয়র। সেখানে পড়াকালীন মিঠুন ও তাঁর বন্ধুরা মিলে শক্তিকে্ দীর্ঘ সময় ধরে র্যাগিং করেছিলেন। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে শ্রদ্ধা কপূ্রের বাবা তাঁর এফটিআইতে পড়ার অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন। যে সময় মিঠুন ও শক্তি এফটিআইতে পড়ছিলেন, সেই সময় রাকেশ রোশনও ছিলেন সেখানকার ছাত্র। তাঁর সঙ্গেই হস্টেলে গিয়েছিলেন শক্তি। ঢুকেই দেখেন, এক ব্যক্তি শারীরিক কসরত করছেন। তিনিই মিঠুন। সেই সময় মিঠুনকে বিয়ার খাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন শক্তি। মিঠুনের উত্তর এসেছিল, তিনি মদ্যপান করেন না।
তার পর রাকেশ চলে যেতেই নাকি আসল রূপ ধারণ করেন মিঠুন। শক্তির চুলের মুঠি ধরে মিঠুন বলেছিলেন, ‘‘ভুলে যেয়ো না আমি তোমার সিনিয়র।’’ তার পরই তাঁকে একটি ঘরে নিয়ে যান মিঠুন এবং কোনায় বসিয়ে রাখেন। সঙ্গে সঙ্গে দু’জন বন্ধুকেও ডাকেন। ঘরের আলো নিভিয়ে দেওয়া হয়। কেবল শক্তির মুখের উপর ছিল আলো। জিজ্ঞেস করেন, “ এ বার বলো তুমি কি বিয়ার খাবে?” শক্তি আরও বলেন, "ওরা বলেছিল, আমি নাকি কলেজে ঢুকেছি হিরোদের মতো। সেই সময় কাঁচি নিয়ে এসে আমার চুল কেটে দিয়েছিল ওরা।’’
শক্তি বলেন, ‘‘আমি কাঁদতে শুরু করেছিলাম। ওদের পা ধরেছিলাম। তার পর আমাকে সুইমিং পুলে নিয়ে যায় ওরা। ৪০টি ল্যাপ করতে বলেছিল। আমি তখনও কাঁদছিলাম। শেষমেশ ওরা আমাকে ছেড়ে দেয়।” তবে সে সব কাহিনি এখন কেউই মনে রাখেননি। দু'জনের পেশাদার জীবনেও তা প্রভাব ফেলতে পারেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy