ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে। বক্স অফিসে ভাল ফল করেছিল। যদিও প্রশংসার থেকে বেশি সমালোচনা হয়েছিল। এক বছরেরও বেশি সময় পেরিয়েও আলোচনার বাইরে বেরোয়নি সন্দীপ রেড্ডি বঙ্গার ‘অ্যানিম্যাল’।
উগ্র পৌরুষের প্রদর্শন, সামাজিক দায়বদ্ধতার অভাব, নারীবিদ্বেষী মনোভাব ইত্যাদি নানা কারণে এ ছবিকে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। পরিচালকের পাশাপাশি ছবির নায়ক রণবীর কপূরকে নিয়েও হয়েছে কাটাছেঁড়া। এ বার ফের এক বার বিতর্ক উস্কে দিলেন পরিচালক। এক সাক্ষাৎকারভিত্তিক অনুষ্ঠানে তিনি দাবি করলেন, কয়েকটা নির্দিষ্ট বই পড়ে, জীবনের দু’-তিন বছর ব্যয় করেই একজন আইএএস আধিকারিক হয়ে ওঠা যায়। কিন্তু ছবি পরিচালনা করার জন্য এমন কোনও নির্দিষ্ট পাঠ্যক্রম নেই, কোনও শিক্ষক হাতে ধরে শিখিয়ে দেন না। ফলে তিনি মনে করেন, ছবি পরিচালনা করার চেয়ে আইএএস হওয়া অনেক সহজ।
আরও পড়ুন:
আসলে সন্দীপের নিশানায় রয়েছেন প্রাক্তন আধিকারিক বিকাশ দিব্যকীর্তি। ১৯৯৬ সালে ইউপিএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তিনি যোগ দিয়েছিলেন সরকারি কাজে। এখন অবশ্য নিজের উদ্যোগে নতুন প্রজন্মকে প্রশিক্ষিত করার কাজ করেন। ২০২৩ সালেই মুক্তি পেয়েছিল আর একটি ছবি ‘টুয়েলফ্থ ফেল’। সেখানে প্রশিক্ষকের ভূমিকায় অভিনয়ও করেছিলেন বিকাশ। ছবি প্রসঙ্গে এক বার তিনি বলেছিলেন, “সমাজকে প্রায় ১০ বছর পিছিয়ে দিতে পারে ‘অ্যানিম্যাল’-এর মতো ছবি। এ রকম ছবি বানানো উচিতই নয়। আপনি হয়তো কিছু অর্থ রোজগার করলেন, ছবিতে দেখালেন নায়ক এক পশুর মতো আচরণ করছে। কিন্তু সমাজে তো কিছু মূল্যবোধও রয়েছে। না কি মানুষ শুধু অর্থের পিছনেই ছুটবে?”
এ প্রসঙ্গে ফের এ বার মুখ খুলেছেন সন্দীপ। তাঁর কথায়, “সত্যি বলছি, অকারণ আক্রমণ করলে আমার রাগ হয়। সেই আইএএস আধিকারিক বলে বসলেন ‘অ্যানিম্যালের মতো ছবি বানানোই উচিত নয়’। এমন ভাবে বলেছিলেন, যেন আমি কোনও অপরাধ করে ফেলেছি।” শুধু এখানেই থামেননি সন্দীপ। পাশাপাশি টেনে এনেছেন সমগ্র আইএএস সমাজকে। তাঁর দাবি, “আইএএস হতে গেলে কী করতে হয়, দিল্লি গিয়ে কোনও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়ে যান, জীবনের দু’-তিনটি বছর খরচ করুন, আর আইএএস হয়ে যান। নির্দিষ্ট কিছু বই পড়তে হবে। ধরা যাক দেড় হাজার বই পড়তে হবে, মন দিয়ে পড়লেই পরীক্ষায় পাশ করা যায়। এটা আমি লিখে দিতে পারি। কিন্তু চিত্রনির্মাতা বা লেখক হতে গেলে আপনি কোনও প্রশিক্ষক পাবেন না।”