গত বছর থেকে বিভিন্ন সময় বলিউড অভিনেতা সলমন খানকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছিল গ্যাংস্টার লরেন্স বিশ্নোই। তার দাবি ছিল, “আমরা যা করি, জানিয়েই করি। জোধপুরেই খুন করব সলমন খানকে। এখনও তো কিছুই করিনি।” আদালতের সামনে সংবাদমাধ্যমকে সরাসরি এই বয়ান দিয়েছিল লরেন্স, সে ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ে সমাজমাধ্যমে। তবে শুধু নায়ক নন, কখনও তাঁর বাবা সেলিম খানের কাছে এসেছে হুমকি, কখনও বান্দ্রার বাড়িতে গুলি ছুড়েছে বিশ্নোইয়ের দলের সদস্যরা। তার পর থেকে বেড়েছে সলমনের নিরাপত্তা।
আরও পড়ুন:
কিন্তু অভিনেতার শুটিংস্থলে এসেও খুনের হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে। নিত্য প্রাণনাশের হুমকি ও নিরাপত্তার বেষ্টনীর মধ্যে দিনযাপন করতে করতে কি ক্লান্ত সলমন!
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, সর্ব ক্ষণ এমন কড়া নিরাপত্তার মধ্যে থাকাটা খুব সহজ কাজ নয়। অসুবিধা তাঁর হয়। যদিও নিজের আয়ু নিয়ে খুব বেশি ভাবিত নন তিনি। সলমনের অকপট স্বীকারক্তি, “আমাদের আয়ু রয়েছে ভগবান কিংবা আল্লাহর হাতে। যতটা আয়ু লিখিয়ে এনেছি ততটাই বাঁচব। কখনও কখনও অসুবিধা হয় এই এত লোকজনকে নিয়ে চলাফেরা করতে।”
১৯৯৮ সালের অক্টোবরে ছবির শ্যুটিং করতে রাজস্থান গিয়েছিলেন সলমন। সে সময় জোধপুরের কোঙ্কনি গ্রামে দু’টি বিরল প্রজাতির কৃষ্ণসার হরিণ শিকার করেন সলমন, এমনটাই অভিযোগ। একই সময় তিনটি চিঙ্কারাও শিকার করেছিলেন সলমন। মোট চারটি মামলা দায়ের হয়েছিল জনপ্রিয় এই অভিনেতার বিরুদ্ধে। দীর্ঘ সময় মামলা চলার পর নির্দোষ প্রমাণিত হন অভিনেতা। সে দিন নাকি সলমনের সঙ্গে হাজির ছিলেন সোনালি বেন্দ্রে, সইফ আলি খান ও তব্বু।
তখন থেকেই সলমনের উপর ক্ষোভ বিশ্নোই গোষ্ঠীর। ১৯৯৮ সালে কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার পর থেকেই ওই গোষ্ঠী বলিউড অভিনেতাকে হুমকি দিয়ে আসছে। তাঁকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি বিশ্নোইদের। কিন্তু সলমন তা করেননি। ফলে সময় যত এগিয়েছে, ক্ষোভ ততই বেড়েছে।