(বাঁ দিকে) করিনা কপূর (ডান দিকে) সইফ আলি খান। ছবি: পিটিআই।
দু’জনেই বলিউডের অভিজাত পরিবারের সন্তান। তাঁরা একে অপরের আলোয় আলোকিত নন। নিজগুণে আলাদা শিল্পীসত্তা তৈরি করেছেন করিনা কপূর খান ও সইফ আলি খান। ২০১২ সালে বিয়ে করেন তাঁরা। দাম্পত্যের বয়স প্রায় ১২ বছর। দুই সন্তানের বাবা-মা তাঁরা। দাম্পত্য জীবনের এক যুগ পেরিয়ে গেলেও বলিউড ‘পাওয়ার কাপল’ তাঁরা। সম্প্রতি কর্তা-গিন্নি একসঙ্গে একটি অনুষ্ঠানে হাজির অভিনেতার জন্মদিনের এক দিন বাদেই। সেখানেই আলোকচিত্রীরা সইফ-করিনাকে একসঙ্গে দেখা মাত্র চিৎকার করে উঠলেন ‘পাওয়ার কাপল’ বলে। পাল্টা সইফের উত্তর শুনে হাসি চাপতে পারলেন না করিনাও।
সইফ সেই পুরুষ, যাঁর কথা উঠলেই চোখ ভিজে যায় করিনার। নিজের অস্তিত্বকে করিনা জুড়ে দিয়েছেন সইফের সঙ্গে, নিজেই স্বীকার করেছেন সে কথা। বিভিন্ন সময় অভিনেতার রসবোধের প্রশংসা করেছেন করিনা। এ বারও সেই প্রমাণই মিলল এক অনুষ্ঠানে। প্রায় দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে বলিউডে অভিনয় করছেন সইফ। মুম্বইয়ের এক অনুষ্ঠানে কালো পোশাকে কালো চশমা চোখে হাজির হয়েছিলেন অভিনেতা। তাঁকে দেখা মাত্রই আলোকচিত্রীরা বলেন, ‘‘আপনি তো আগুন লাগিয়ে দেবেন।’’ সঙ্গে সঙ্গে সইফ বলে ওঠেন, ‘‘২০ বছর বাদ মনে হল, আগুন ঝরাতে পারি!’’ অভিনেতার কথা শুনে একটু সংশোধন করে আলোকচিত্রীরাও বলেন, ‘‘ না না, সিনেমা আগুন লাগাচ্ছে।’’ পাল্টা ধন্যবাদ জানান অভিনেতাও।
এমনিতেই সইফ-করিনার বাড়ির সামনে সর্ব ক্ষণ আলোকচিত্রীদের ভিড়। তাঁরা কোথায় যাচ্ছেন, কী করছেন, তাঁদের ছেলেরাই বা কী করছে... সর্বক্ষণ যেন ক্যামেরাবন্দি তাঁরা। বেশ কয়েক বার আলোকচিত্রীদের উপর মেজাজও হারিয়েছেন সইফ। আবার সময় বিশেষে কাছেও টেনে নিয়েছেন তাঁদের। এ বার আলোকচিত্রীদের সঙ্গে অভিনেতার তেমনই এক খুনসুটির মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি হল। এ দিনের অনুষ্ঠানে সইফ-করিনাকে একসঙ্গে দেখেই তাঁরা বলেন, ‘‘পাওয়ার কাপল।’’ পাল্টা সইফ বলেন, ‘‘সবাই আজকাল পাওয়ার কাপল।’’ স্বামীর কথা শুনে হাসি চাপতে পারলেন না করিনাও। তার পরই তড়িঘড়ি উঠে পড়লেন গাড়িতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy