সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়
নামেই যা মিল, গল্পে নয়। তবে নব্বই দশকের মাঝামাঝি মুক্তি পাওয়া তপন সিংহর ‘হুইলচেয়ার’-এ অভিনয় করেছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। এ বারও তাই।
পাশাপাশি, এ ছবিতে বহু কাল বাদে সৌমিত্রর সঙ্গে পরদায় আসতে চলেছেন সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়। গল্পটি সাহিত্যিক শান্তনু (দেবদূত ঘোষ) ও তাঁর স্ত্রী উপালাকে (সৌমিলি বিশ্বাস) কেন্দ্র করেই। সৌমিত্র এখানে এক পাবলিশিং হাউসের মালিক প্রদ্যুৎ মিত্র। সাবিত্রী হলেন উপালার মা মায়াদেবী।
শান্তনু-উপালার বিয়ে হয়েছে বছর আটেক। তিন্নি তাদের একমাত্র মেয়ে। তিন্নি জন্মানোর পর থেকে সাংসারিক খরচ বাড়লেও শান্তনুর রোজগার বাড়েনি এতটুকু। তা নিয়ে প্রায়ই অশান্তি, ভুল বোঝাবুঝি।
এ দিকে শান্তনুর বইপত্রের বিক্রিবাটাও তেমন নেই। কিন্তু এ নিয়ে উপালা কিছু বলতে গেলে তার মানে লাগে। তার বিশ্বাস একদিন না একদিন তার সাহিত্য সমাদর পাবেই। তার মধ্যেই হতাশা, বিক্ষিপ্ত সময়, আর্থিক চাপ তাকে অবিন্যস্ত, অস্থির করে দেয়। হঠাৎ পথ দুর্ঘটনায় সারা জীবনের মতো দুটো পা-ই হারায় শান্তনু। হুইলচেয়ারই তখন তার নড়াচড়ার একমাত্র সঙ্গী।
সংসারে নেমে আসে আরও বড় দুর্বিপাক। গঞ্জনা, হেনস্তা, অপমানে আক্রান্ত একটি পরিবারের তিনটি মানুষ তখন উত্তাল সাগরে ভেসে যাওয়া ডিঙি নৌকার মতো আছাড়িপিছাড়ি। কী হবে তাদের! কী হতে পারে?
এ নিয়েই কাহিনি ‘হুইলচেয়ার’। ক’দিন পরেই যার শ্যুটিং শুরু হতে চলেছে হিন্দুস্থান রোডের এক বিখ্যাত বাড়িতে।
কাহিনি ও পরিচালনায় সন্তু সিংহ। অভিনয়ে আরও আছেন বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, সুপ্রিয় দত্ত, তমাল রায়চৌধুরী ও মিতা চট্টোপাধ্যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy