রূপসা চট্টোপাধ্যায়।
অভিনয় ছাড়া আর কী করতে ভাল লাগে?
ছোটবেলা থেকেই ইচ্ছে ছিল ডান্স কোরিওগ্রাফার হওয়ার। আমার হবি ডান্স। ছোটবেলা থেকে নাচতে ভীষণই ভালবাসতাম। আড়াই বছর বয়সে যে দিন স্কুলে ভর্তি হই সে দিনই রাতে ডান্স ক্লাসে ভর্তি হই। বড় হয়ে মমতাশঙ্করের কাছে ডান্স শিখতাম। কিন্তু পরে এত কাজ করতে শুরু করি যে নাচ আর করা হয় না। চ্যানেলের নানা প্রোগ্রামে নেচেছি ঠিকই কিন্তু আগের মতো আর নাচার সুযোগ পাই না।
মোহিনী সরকার চরিত্র করতে কেমন লাগছে?
খুবই ভাল লাগে। অন্য রকম চরিত্র। নেগেটিভ শেডস। আই লাভ নেগেটিভ শেডস। সবাই জানে পর পর অনেকগুলো নেগেটিভ ক্যারেক্টারস প্লে করেছি। এই চরিত্রটা করতে ভাল লাগে কারণ এই মেয়েটি এক জন ম্যাজিসিয়ান, ম্যাজিক দেখাতে পারে (পাশে ধারাবাহিকের নায়ক রুবেল এসে বসলেন। অঙ্গভঙ্গিতে দু’জনের দুষ্টুমি শুরু হল)।
আরও পড়ুন, মানুষ আর মানুষ থাকবে কি? উত্তর খুঁজবে কোয়েল-পরমের ‘বনি’
মোহিনী এখন কী করছে?
ওই যা করে থাকে...প্রথম দিন থেকে দুষ্টুমি করছে (নিজেও চোখ পাকিয়ে দুষ্টুমি করেন নায়কের সঙ্গে)। ওর জীবনের একমাত্র লক্ষ্য ছিল ভানু আর তার মেয়ে ভেলকিকে আলাদা করে দেওয়া। মোহিনী সেটা করতে পেরেছে। সবাই জানে ভানুমতী মারা গেছে। ওই সময়ে সে প্রেগন্যান্ট ছিল। তার ছ’বছর পর জানা যায় যে ভানু বেঁচে আছে। সেটা একমাত্র মোহিনীই জানে। তার মেয়ে ভেলকিকে মোহিনী খুঁজে পায়। নিজের ম্যাজিক ইনস্টিটিউটে ভর্তি করায়। তাকে দিয়ে ম্যাজিক শো করায়। এন্ড অব দ্য ডে মোহিনীর প্রফিট হয়। তো মোহিনী ভানুকে খুঁজে পেয়েছে। ভানু ও ভেলকিকে আলাদা রাখার চেষ্টা করছে। ওদের মিলন হলেই গল্প শেষ।
মানে আপনি গল্প এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন?
হা হা হা...আপাতত বলতে পারেন।
সে ক্ষেত্রে এই মুহূর্তে আপনিই কেন্দ্রীয় চরিত্র...
নায়ক নেহি, খল নায়ক হুঁ ম্যায় (নায়কের দিকে তাকিয়ে হালকা সুরে দুষ্টুমি করে)।
ধারাবাহিকের দৃশ্যে রূপসা চট্টোপাধ্যায়।
মোহিনী যে দুষ্টুমিগুলো করে আপনি চেষ্টা করেছেন কখনও?
না...রিয়েল লাইফে আমি এ রকম...মানে প্যাঁচ কষতে হয় না, এমনিই ইজিলি করে ফেলি...হা হা।
সব থেকে মজার কমেন্ট কী পেয়েছেন?
মজার কমেন্ট...(একটু ভেবে) আমার মামার বাড়িতে তিনশো বছরের পুরনো দুর্গাপুজো হয়। যা হয়, ভাসানের সময় আমি তো নাচতে নাচতে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছি। লোকজন আমাকে চিনতে পারছে, ঘিরে ধরেছে। তো এক বাচ্চা ছেলে এসে বলল, ‘আমি তোমায় বিয়ে করতে চাই।’ (হাসি)। তখন ‘অগ্নিপরীক্ষা’-র সময়। আমি বলছি, ‘তোর কত বয়স?’ সে বলে, ‘আমি অত জানি না, আমি তোমায় বিয়ে করতে চাই।’...হা হা হা...খুব জোর ছ’-সাত বছর বয়স হবে। তার পর ওকে লজেন্স দিয়ে, ওর সঙ্গে ছবি তুলে শান্ত করি। আর এক বার একটি ছেলে পাঁচশো টাকার নোটে আমার অটোগ্রাফ নিয়ে ওয়ালেটের যেখানে ছবি রাখে সেখানে রেখে দিল। বলল, ‘কোনও দিনও খরচ করব না।’ ছেলেটিকে দেখে নিম্ন মধ্যবিত্ত ঘরের বলেই মনে হয়েছিল। আমার এত ভাল লেগেছিল তখন! এন্ড অব দ্য ডে এটাই পাওনা।
আরও পড়ুন, ছুটির দিনেও এই বিশেষ কাজটি বাদ দেন না করিনা! দেখুন ভিডিয়ো
লাভ লাইফ...
ভাবছিলাম, এই প্রশ্নটা কখন করবেন...হা হা...লাভ লাইফ (ভেবে)...চলছে, ভালই চলছে (সলজ্জ হাসি)। প্রেম তো আছে, থাকবে, সারা ক্ষণই থাকবে।
(টলিউডের প্রেম, টলিউডের বক্স অফিস, বাংলা সিরিয়ালের মা-বউমার তরজা -বিনোদনের সব খবর আমাদের বিনোদন বিভাগে।)
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy