‘গণশত্রু’র দৃশ্য
রুমাদির সঙ্গে দু’টি ছবিতে কাজ করেছিলাম, ‘গণশত্রু’ ও ‘প্রেমবন্ধন’। দু’টিতেই উনি আমার মায়ের চরিত্রে। বাস্তব জীবনেও ওঁর কাছ থেকে যে স্নেহের স্পর্শ পেয়েছি, তা আমার কাছে অমূল্য সম্পদ। ছবির ডাবিং চলছিল। আমার ভীষণ শরীর খারাপ। দাঁতে দাঁত লেগে যাচ্ছে! তখন ঠিক মায়ের মতো করে রুমাদি আমার পায়ের তলায় ডলে দিয়েছিলেন। মুখ হাঁ করিয়ে নুন-চিনি খাইয়ে দেন। ভাল লেগেছিল। আবার একটা জড়তাও কাজ করছিল ভিতরে। অত বড় মানুষ আমার পায়ে হাত দিচ্ছেন...
কয়েকটা তারিখ সারা জীবন মনে থাকে। যেমন, আমার কাছে ৬ অগস্ট। ওই দিন ক্যালকাটা ইয়ুথ কয়্যারের এক অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। হলে বসে চন্দ্রোদয় (ঘোষ) আমাকে প্রোপোজ় করেছিল। পরে রুমাদিকে বলতাম, ‘‘ভাগ্যিস! আপনার ওই অনুষ্ঠানে এসেছিলাম।’’ রুমাদির সঙ্গে জীবনের এমনই কিছু সোনালি মুহূর্ত জড়িয়ে রয়েছে।
আমাদের পারিবারিক সম্পর্কও নিবিড়। রুমাদির মায়ের গান রেডিয়োয় শুনে আমার বাবা ওঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। আলমোড়ায় বাবা-মায়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে রুমাদির মা গান করেন। তার পরে আলমোড়ায় বাবা-মায়ের নাচের স্কুলে ভর্তি হয়েছিলেন রুমাদি। এর পরে যখনই আমাদের কথা হতো, আলমোড়ার কথা বারবার করে বলতেন উনি।
ওঁর চলে যাওয়া আমার জীবনেও এক অপূরণীয় শূন্যতা তৈরি করল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy