পুজো আসছে। প্রথমেই একটা ছোট্ট সাজেশন দেব।
আমার ছেলে বন্ধুদের বলছি, গুরু, পুজোর সময় ফাটিয়ে ঝাড়ি মারো, প্রেমটা কোরো না। পঞ্চমী থেকে নবমী পর্যন্ত টাইম পাসের জন্য পার্টনার সিলেক্ট করে নাও। বিশ্বাস কর, পুজোর আলোয় আর মাইকে সমস্ত মেয়ের রূপ মনে হয় মাধুরী দীক্ষিত। আর তাদের গলা মনে হয় কোকিলের মতো। যেই পুজোর আলো নিভে যায়, প্যান্ডেলের বাঁশ, কাপড় খুলে নেওয়া হয়, প্রতিমা বিসর্জন হয়ে যায়, সঙ্গে সঙ্গে মনে হবে, ওমা! এ তো টুনি! তাই পুজোর সময় ঘোরো, কিন্তু দিল মাত্ দে কে ব্যায়ঠো।
আমার মেয়ে বন্ধুদেরও বলছি, হয়তো ভাবছ শাহরুখ খান! কিন্তু আসলে রুটি খান, তরকারি খান, পায়েস খান…। হা হা হা…। পুজোয় মজা কর, দোস্তি কর। হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক তো রয়েইছে ঝাড়ি মারবার নতুন নতুন উপকরণ। কিন্তু সেফ থাকো। কখনও নিজের মজা করতে গিয়ে অন্যের ক্ষতি করে ফেলো না।
আরও পড়ুন, বিয়ের পর প্রথম পুজো, প্ল্যানিং চলছে…
পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে সিনেমাও। অন্তত আমি মনে করি, আমাদের দেশে সিনেমা হলটা গার্লফ্রেন্ড বা ফ্রেন্ডদের সঙ্গে বৈধ ভাবে দুষ্টুমি করার জায়গা। পুজোতে সে সুযোগ ছাড়বে কেন?
আমার তো ফাটিয়ে আড্ডা রয়েছে বন্ধুদের সঙ্গে। মূলত বাড়িতে। কারণ বাড়িতে যে ভাবে বেলেল্লাপনা করতে পারব, সেটা বাইরে সম্ভব নয়। তারপর রাত বাড়লে ঠাকুর দেখতে বেরবো।
আরও পড়ুন, পুজোয় কোন বিশেষ কারণে নীলাঞ্জনার উপর ভরসা করেন যিশু?
পুজোর সময় যা খুশি খাই। আমি খেয়াল করে দেখেছি, পুজোর সময় সব কিছু হজম হয়ে যায়। শরীর খারাপ হয় না। অন্য সময় ওই খাবারটা খেলেই কলেরা, ডায়েরিয়া, ডায়াবেটিস হবেই। সবটাই মা দুর্গার আশীর্বাদ হয়তো। আর পুরনো বন্ধু, যাদের সঙ্গে সব সময় দেখা হয় না, তাদের সঙ্গে দেখা করবই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy