মিমি চক্রবর্তী এবং রুদ্রজিৎ মুখোপাধ্যায়।
জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘জীবন সাথী’র তূর্ণ ওরফে রুদ্রজিৎ মুখোপাধ্যায় আপাতত মৈনাক ভৌমিকের আগামী ছবি ‘মিনি’র রণ। খবরটা ছড়াতেই নড়ে বসেছে টেলিপাড়া, টলিউড। ছোট পর্দার ‘মা দুর্গা’, ‘পটলকুমার গানওয়ালা’র জনপ্রিয় অভিনেতা বড় পর্দায় পা রাখতে চলেছেন। তাঁর বিপরীতে মিমি চক্রবর্তী! বৃহস্পতিবার, লর্ডসের মোড়ে ক্যামেরা-বন্দি হয়েছে তাঁর আর মিমির রসায়ন। কেমন সেই অভিজ্ঞতা? উচ্ছ্বসিত রুদ্রজিৎ আনন্দবাজার অনলাইনকে জানিয়েছেন, ‘‘একটা সময়ের পরে দেখি, আমাদের কাজ দেখতে চারপাশে ভিড়। সবাই দাঁড়িয়ে গিয়েছেন। বুঝলাম বড় পর্দার নায়ক হয়েছি, মিমি চক্রবর্তীর নায়ক!’’
অভিনেতার ফেসবুক পেজ বলছে, সেই আনন্দে কাজ ফুরোনোর পরেই অভিনেত্রী স্ত্রী প্রমিতা চক্রবর্তীকে নিয়ে ছবি দেখতে চলে গিয়েছিলেন রুদ্রজিৎ! সে কথা বলতেই লাজুক হাসি তাঁর। জানালেন, ছবি দেখার পরিকল্পনা ছিলই। কিছুটা আনন্দের আতিশয্যে বৃহস্পতিবার রাতেই তাই দু’জনে বেরিয়ে পড়েন। তবে প্রথম দিন মিমির মুখোমুখি হয়ে নাকি একটুও ঘাবড়াননি তিনি। বলেছেন, ‘‘সংলাপ আগেই মুখস্থ করে রেখেছিলাম। চাপমুক্ত থাকার জন্য নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছনোর আগে পর্যন্ত মোবাইলে গেম খেলেছি।’’
কেমন দেখলেন মিমিকে? প্রচণ্ড রাশভারী, কম কথা বলেন? রুদ্রজিতের দাবি, অত্যন্ত পেশাদার। আসেন, শট দেন। যেটুকু প্রয়োজন ঠিক ততটুকুই অভিনয় করেন। কাজ শেষ হলেই চলে যান। তবে অভিনেতাদের ভীষণ সাহায্য করেন। তাঁর সঙ্গেও কাজের আগে সংলাপ আলোচনা করে নিয়েছিলেন মিমি। বরাবর ছোট পর্দায় কাজ করে আসা অভিনেতা বড় পর্দায় সুযোগ পেয়েছেন আচমকাই। যে দিন প্রোডাকশন থেকে যোগাযোগ করা হয় সে দিনই তাঁর পুরুলিয়ার বাড়িতে যাওয়ার কথা। এক ঘণ্টার মধ্যে চিত্রনাট্য অনুযায়ী অভিনয় করে ভিডিয়ো পাঠিয়ে দেন। দিন দু’য়েক পরে জানতে পারেন, পরীক্ষায় সসম্মানে উত্তীর্ণ তিনি। এর পর ধারাবাহিক ‘জীবন সাথী’র প্রযোজক স্নেহাশিস চক্রবর্তী সবুজ সংকেত দিতেই স্বস্তির শ্বাস ফেলেন রুদ্রজিৎ। ছোট মেয়ে মিনিকে কেন্দ্র করে ছবির গল্প। এই চরিত্রে অভিনয় করবেন খুদে শিল্পী অয়না চট্টোপাধ্যায়। অতিমধ্যেই মিমি আর অয়নার প্রথম ‘লুক’ প্রকাশ্যে। প্রযোজনায় স্মল টক আইডিয়াজ প্রোডাকশনস। নিবেদনে এনকে মিডিয়া।
আপাতত ‘রণো’ ওরফে রুদ্রজিৎ মিনি-র ‘তিতলি’ ওরফে মিমিতে মুগ্ধ। তাঁর ছোট পর্দার স্ত্রী ‘ঝিলম’-এর কী হবে? ঝটিতি জবাব দিলেন অভিনেতা, ছোট পর্দায় ঝিলমের জন্য তূর্ণ যেমন ছিল তেমনই থাকবে। মৈনাক ভৌমিকের ছবিতে বড় জোর দিন দশেকের কাজ। তাই দুই দিকই বজায় থাকবে। আর বাস্তবে প্রমিতার জন্য তো রুদ্রজিৎ আছেই। তার পরেই আক্ষেপ রুদ্রজিতের গলায়, ‘‘বাবা, জেঠু, ঠাকুমা বলতেন, বড় পর্দায় তোকে কবে দেখব? সে-ই সুযোগ পেলাম। কিন্তু ওঁরা আজ আর কেউ নেই!’’ দুঃখ মুছে পরক্ষণেই ঝলমলে অভিনেতা, ‘‘সবার সব আনন্দ একাই পুষিয়ে দিচ্ছে প্রমিতা। ও খুব খুশি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy