তিন দিন পর বৃহস্পতিবার সেই বিবাদের অবসান হল। নির্দিষ্ট সেই বিমান সংস্থার তরফে টুইট করে ক্ষমা চাওয়া হয়েছে। লেখা হয়েছে, ‘আপনার অসুবিধার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী আমরা। অনেক বার ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়েছে কিন্তু কোনও ভাবে সফল হইনি। আপনার সুবিধামতো একটা সময় বলুন, আপনাকে আমরা যোগাযোগ করে কথা বলে নেব।’
ঋতুপর্ণার বিমান-বিতর্ক
সোমবার থেকে শিরোনামে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। কারণ, বিমান না ধরতে পারা। টলি নায়িকা ফেসবুকে অভিযোগ জানিয়েছিলেন, মিনিট খানেক দেরি করে আসায় তাঁর বোর্ডিং গেট বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং তাঁকে বিমানে উঠতে দেওয়া হয়নি। তাঁর কথায়, ৪০ মিনিট ধরে বচসা, কান্নাকাটি করার পরেও কলকাতা বিমানবন্দর থেকে তাঁকে ছাড়াই উড়ে যায় আমদাবাদের বিমান। সেখানে শ্যুটিং ছিল তাঁর। বেশ অসুবিধায় পড়তে হয় তাঁকে।
তিন দিন পর বৃহস্পতিবার সেই বিবাদের অবসান হল। নির্দিষ্ট সেই বিমান সংস্থার তরফে টুইট করে ক্ষমা চাওয়া হয়েছে। লেখা হয়েছে, ‘আপনার অসুবিধার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী আমরা। অনেক বার ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়েছে কিন্তু কোনও ভাবে সফল হইনি। আপনার সুবিধামতো একটা সময় বলুন, আপনাকে আমরা যোগাযোগ করে কথা বলে নেব।’
কী ঘটেছিল সে দিন?
ঋতুপর্ণা সোমবার তাঁর পোস্টে ঘটনার বর্ণনা করে লেখেন, ‘সময় মতো বিমানবন্দরে পৌঁছনোর উপদেশ দেন বিমান কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এখানে ছোট্ট একটি গন্ডগোল রয়েছে। আমি, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, বাংলা চলচ্চিত্র জগতের শিল্পী হিসেবে স্বল্প পরিচিত, বিমান ধরতে গিয়েছিলাম নির্ধারিত সময়ে। ৪:৫৫ মিনিটে বোর্ড করতে বলা হয়েছিল।’ তাঁর লেখা থেকেই জানা যায়, তিনি গেটে পৌঁছন ৫.১০-৫.১২ মিনিটের মধ্যে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে জানানো হয়, বোর্ডিং গেট অনেক ক্ষণ আগেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে! এবং তাঁকে দেখতে না পেয়ে নির্দিষ্ট সময়ে নাকি তাঁর নাম ঘোষণা করেছেন কর্তৃপক্ষ। ফোনেও যোগাযোগ করা হয়েছে। কিন্তু নায়িকার দাবি, তাঁর কাছে কোনও ফোন আসেনি। এ দিকে, সঠিক সময়ে শ্যুটিংয়ে না গেলে প্রযোজকের সমস্যা হবে। বন্ধ হয়ে যাবে শ্যুট। তাই সেই সময় তিনি ক্রমাগত বিমানবন্দরের কর্মীদের তাঁকে বিমানে উঠতে দেওয়ার অনুরোধ জানাতে থাকেন। এ ভাবে টানা ৪০ মিনিট তাঁর সঙ্গে কথা হয় কর্মীদের। কিন্তু নায়িকার দাবি, তাঁর সমস্যা কেউ বুঝতেই চাননি!
বৃহস্পতিবার আবার পোস্ট করেন ঋতুপর্ণা। যেখানে বিমান সংস্থার সেই টুইটটির ছবি তুলে লেখেন, ‘ক্ষমা চাওয়ার জন্য ধন্যবাদ। কিন্তু বিমান ছাড়ার ২৫ মিনিট হওয়ার আগেই বোর্ডিং গেট বন্ধ করে দেওয়া উচিত নয়। তাতে যাত্রীদের পাশাপাশি সমস্যায় পড়তে হয় সংস্থাকেও। বিমানে উঠতে দেওয়া হয়নি বলে আমাকে আরও দু’টি বিমান ধরে কাজে পৌঁছতে হয়। তার মধ্যে একটি কাজে উপস্থিত থাকতে পারিনি আমি। আশা করি, এমন ঘটনা বারবার হবে না। কেবল আমার জন্য নয়, সহ-নাগরিকদের সুবিধার্থেই এই অনুরোধ করছি।’
পোস্টের পরের অংশে ঋতুপর্ণা ফেসবুক ব্যবহারকারীদের তোপ দাগেন। তিনি জানান, তাঁর পোস্টে নেতিবাচক মন্তব্যগুলি তিনি পড়েছেন। তার উত্তর হিসেবে ঋতুপর্ণা লেখেন, ‘কেবল আমার জন্য অভিযোগ জানাইনি আমি। গোটা দেশের হয়ে কথা বলেছি। অন্যায় হয়েছে বলেই আমি চিৎকার করেছি। আমার জন্য এবং প্রত্যেকের জন্যও বটে। এখন আমাকে বারবার যাতায়াত করতে হচ্ছে কাজটি শেষ করার জন্য। যে কাজের জন্য যাচ্ছিলাম, সেটি আমদাবাদ শহরে নয়, তার থেকে ৩ ঘণ্টা দূরে। খুব সহজে পৌঁছনো যায় না সেখানে। তাই এত করে অনুরোধ জানিয়েছিলাম।’
নায়িকার পোস্টের তলায় বিমান সংস্থার আর এক কর্মী জানিয়েছেন, খুব তাড়াতাড়ি তাঁদের সংস্থার তরফে যোগাযোগ করা হবে ঋতুপর্ণাকে।
যদিও অনেকে মনে করেন, ঋতুর ঠিক সময়ে পৌঁছনো উচিত ছিল।যে ভাবে আমজনতা সময় নিয়ে বিমানবন্দরে পৌছয়। অনেকেই বলেছেন, দেরি হলে বিমান অপেক্ষা করবে না, সে তো জানাই কথা। তাঁর তরফ থেকেও গাফিলতি রয়েছে বলেই মনে করা হয়েছে। কিন্তু উল্টো দিকে বিমান সংস্থার তরফেও যে তাঁকে ফোনে যোগাযোগ করা যায়নি।বিমানের গেট বন্ধ হয়ে যাওয়ার সময় যে তাঁর সঙ্গে ফোনে বিমান সংস্থার কথা হয়নি সে তথ্য পাওয়া গেল বৃহস্পতিবার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy