আনন্দবাজার অনলাইন শ্রীলেখার সঙ্গে যোগাযোগ করতেই তিনি বললেন, ‘‘না, আমি কারও বিরুদ্ধে কিছু বলিনি। নিজের কথা মনে পড়ে গেল আসলে। আমার জন্যে এক বার বিমান দাঁড়ায়নি। কারণ আমি সময় মতো পৌঁছতে পারিনি বোর্ডিং গেটে। নির্ধারিত সময় বিমানবন্দরে পৌঁছে গিয়েছিলাম কিন্তু আমি উপরে ছিলাম। নীচে ছিল বোর্ডিং গেট। আমার নাম ধরে ডেকেওছে। কিন্তু শুনতে পাইনি।’’
ঋতুপর্ণাকে নিয়ে পোস্ট দিলেন শ্রীলেখা?
বিমানে উঠতে দেওয়া হয়নি ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে। তার ফলে আমদাবাদে সময় মতো শ্যুটিংয়ে পৌঁছতে পারেননি তিনি। ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে সেই বিমান সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন টলি নায়িকা।
এই পোস্টটির কয়েক ঘণ্টা পরে টলিউডের আর এক অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে একটি পোস্ট করেছেন। যেখানে লেখা, ‘ট্রেন হোক বা প্লেন, নিয়ম তো সবার জন্য এক মামা’। দু’টি পোস্ট পর পর। প্রশ্ন জাগে, শ্রীলেখা কি তবে ঋতুপর্ণাকে খোঁচা মেরেই পোস্টটি করেছেন?
আনন্দবাজার অনলাইন শ্রীলেখার সঙ্গে যোগাযোগ করতেই তিনি বললেন, ‘‘না, আমি কারও বিরুদ্ধে কিছু বলিনি। নিজের কথা মনে পড়ে গেল আসলে। আমার জন্যও এক বার বিমান দাঁড়ায়নি। কারণ আমি সময় মতো পৌঁছতে পারিনি বোর্ডিং গেটে। নির্ধারিত সময় বিমানবন্দরে পৌঁছে গিয়েছিলাম কিন্তু আমি উপরে ছিলাম। নীচে ছিল বোর্ডিং গেট। আমার নাম ধরে ডেকেওছে। কিন্তু শুনতে পাইনি। তাই সময় মতো গেটে উপস্থিত হতে পারিনি। বিমান উড়ে গিয়েছে আমাকে ছাড়াই। কিন্তু আমি ‘শ্রীলেখা মিত্র’ বলে কোনও পোস্ট দেওয়ার কথা মাথায় আসেনি তখন। আসবেও না। তুমি যে-ই হও না কেন, কারও জন্য নিয়ম বদলাবে না।’’
ঋতুপর্ণার নাম না নিয়েই শ্রীলেখা জানালেন, প্রত্যেক মানুষের কাছেই তাঁর কাজ খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারও মিটিং আছে, কারও বা পরিবারির সমস্যা। সকলেরই গন্তব্যে পৌঁছনোর তাড়া থাকে। তাই সময় মতো পৌঁছতে হয়। না হলে বিমান দাঁড়াবে না। কারও জন্য অপেক্ষা করবে না।
ঋতুপর্ণা তাঁর ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘সময় মতো বিমানবন্দরে পৌঁছনোর উপদেশ দেন বিমান কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এখানে ছোট্ট একটি গন্ডগোল রয়েছে। আমি, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, বাংলা চলচ্চিত্র জগতের শিল্পী হিসেবে স্বল্প পরিচিত, বিমান ধরতে গিয়েছিলাম নির্ধারিত সময়ে। ৪:৫৫ মিনিটে বোর্ড করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু...’ তার পরেই গোটা ঘটনাটির বর্ণনা দেন তিনি।
আমদাবাদের বিমান ধরার জন্য যাত্রীদের গেট নং ১৯-এ বোর্ডিংয়ের সময় ভোর ৪.৫৫ দেওয়া হয়েছিল। তিনি পৌঁছন ৫.১০ থেকে ৫.১২ মিনিটের মধ্যে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে জানানো হয়, বোর্ডিং গেট অনেক ক্ষণ আগেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে! এবং তাঁকে দেখতে না পেয়ে নির্দিষ্ট সময়ে নাকি তাঁর নাম ঘোষণা করেছেন কর্তৃপক্ষ। ফোনেও যোগাযোগ করা হয়েছে। কিন্তু নায়িকার দাবি, তাঁর কাছে কোনও ফোন আসেনি। এ দিকে, সঠিক সময়ে শ্যুটিংয়ে না গেলে প্রযোজকের সমস্যা হবে। বন্ধ হয়ে যাবে শ্যুট। তাই সেই সময় তিনি ক্রমাগত বিমানবন্দরের কর্মীদের তাঁকে বিমানে উঠতে দেওয়ার অনুরোধ জানাতে থাকেন। এ ভাবে টানা ৪০ মিনিট তাঁর সঙ্গে কথা হয় কর্মীদের। কিন্তু নায়িকার দাবি, তাঁর সমস্যা কেউ বুঝতেই চাননি!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy