(বাঁ দিকে) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঋতাভরী চক্রবর্তী (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
গত শনিবার পরিচালক অরিন্দম শীলের বিরুদ্ধে নারীনিগ্রহের একাধিক অভিযোগের কারণে ডিরেক্টর্স গিল্ড তাঁকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য সাসপেন্ড (নিলম্বিত) করেছে। ইতিমধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে বিষ্ণুপুর থানায়। এই আবহেই অভিনেতা জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে উঠতি মডেল ও অভিনেত্রীরা যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছেন। এমন অবস্থায় টলিউডের নারীসুরক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে তৎপর হলেন অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী। মঙ্গলবার বিকেলে তিনি যান নবান্নে। প্রায় ৩০ মিনিট মতো কথা হয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর। তার পর থেকে জল্পনা ঘনীভূত— কী কথা হয়েছে তাঁদের মধ্যে? ঋতাভরী নিজেই জানালেন, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কোন দাবিদাওয়া নিয়ে হাজির হয়েছিলেন তিনি।
কানাঘুষোয় শোনা যাচ্ছিল, ঋতাভরী নাকি হেমা কমিটির ধাঁচে একটি কমিশন তৈরির প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন। মুখ্যমন্ত্রীও নাকি চাইছেন, তেমন একটি কমিটি তৈরি হোক বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অন্দরে। যে কমিটি বাংলা বিনোদন দুনিয়ার সঙ্গে যুক্ত সর্ব স্তরের মহিলাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করবে। এ বার ঋতাভরী লেখেন, ‘‘মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীকে আমি অনুরোধ করেছিলাম হেমা কমিটির ধাঁচে এখানেও একটা কমিটি করতে। সেই ডাকে সাড়া দিয়েছেন তিনি। তবে আমি অনুরোধ করেছি, সেই কমিটি যাতে নিরপেক্ষ হয়, তার জন্য রাজনীতি ও বিনোদন জগতের লোকেরা যেন এর সদস্য না থাকেন। বিভিন্ন পেশার মহিলারা থাকুন। তাঁরা চিকিৎসকও হতে পারেন, কিংবা আইনজীবীও হতে পারেন। যাঁরা বাংলা চলচ্চিত্র জগতের অন্দরে ঘটে চলা মহিলাদের উপর যৌন হেনস্থার তদন্ত করবেন। তার আগে যাঁরা হেনস্থা করছেন, তাঁদের চিহ্নিত করতে হবে।’’
পাশাপাশি ঋতাভরী এ-ও স্পষ্ট করেন, এ দিনের বৈঠকে তিনি কোনও দলেও পক্ষ নিয়ে যাননি। ইন্ডাস্ট্রির একজন হিসাবেই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। ঋতাভরীর হুঙ্কার, হয়তো সময় লাগতে পারে, তবে এর শেষ দেখে তিনি ছাড়বেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy