(বাঁ দিকে) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঋতাভরী চক্রবর্তী (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
মঙ্গলবার বিকেলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে নবান্নে যান অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী। প্রায় ৩০ মিনিট ধরে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে একান্ত বৈঠক হয় তাঁর। টলিপাড়ায় একের পর এক নারীনিগ্রহের অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। অভিযোগ উঠেছে পরিচালক অরিন্দম শীল, অভিনেতা জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি, সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করে অভিনেত্রী ঋতাভরী জানিয়েছিলেন, অতীতে তিনি টলিপাড়ায় যৌন হেনস্থার শিকার হয়েছেন। এ বার বাংলা সিনেমা জগতে যৌন হেনস্থা রুখতেই নাকি উদ্যোগী ঋতাভরী। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ ঘিরে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে জল্পনা। কী কথা হল দু’জনের?
সম্প্রতি, মালয়ালম ইন্ডাস্ট্রিতে একের পর এক নারী নিগ্রহের খবর প্রকাশ্যে এসেছে। সেই প্রসঙ্গ উত্থাপন করে ঋতাভরী সমাজমাধ্যমে তাঁর পোস্টে লিখেছিলেন, ‘‘মালয়ালম চলচ্চিত্র জগতের যৌন হেনস্থার ঘটনা প্রকাশ্যে এনেছে হেমা কমিশনের রিপোর্টে। আমি ভাবছি, বাংলা চলচ্চিত্র জগতে কেন এই ধরনের পদক্ষেপ করা হচ্ছে না?’’ এই হেমা কমিটির রিপোর্টে মালয়ালম ফিল্ম জগতে মহিলাদের নিগ্রহ এবং বৈষম্যের কথা উঠে এসেছে সবিস্তার।
এর পরেই মুখ্যমন্ত্রী-অভিনেত্রী সাক্ষাৎ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষ করে সোজা গাড়িতে উঠে বেরিয়ে যান ঋতাভরী। তবে বিশ্বস্ত সূত্রের খবর, ঋতাভরী নাকি হেমা কমিশনের ধাঁচে একটি কমিটি তৈরির প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন। মুখ্যমন্ত্রীও নাকি চাইছেন হেমা কমিশনের ধাঁচে একটি কমিটি তৈরি হোক বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অন্দরে। যে কমিটি বাংলা বিনোদন দুনিয়ার সঙ্গে যুক্ত সর্ব স্তরের মহিলাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করবে। খবর মিলেছে, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে নাকি সন্তুষ্ট অভিনেত্রী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy