Advertisement
১৮ নভেম্বর ২০২৪
Entertainment News

আমি সারা জীবন স্টার কিড হয়ে থাকতে চাই: ঋদ্ধি সেন

কাস্টিং কাউচ থেকে ব্যক্তিগত জীবন— সব বিষয়ে অকপট ঋদ্ধি সেন।

ঋদ্ধি সেন।

ঋদ্ধি সেন।

জয়দীপ সেন
শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৭:৩৭
Share: Save:

ঠাকুমা বলেছেন, জীবদ্দশায় ঋদ্ধির হাতে জাতীয় পুরস্কার দেখে নিয়েছি। এর চেয়ে বেশি পাওনা একজীবনে আর কিছু নেই। তাই ভাল মানুষ হয়ে ঠাকুমাকে সারপ্রাইজ দিতে চান তিনি। এ যাবৎকাল যা যা পেয়েছেন তার জন্য বাবা-মায়ের আত্মত্যাগ ভোলার নয়। কাস্টিং কাউচ থেকে ব্যক্তিগত জীবন— সব বিষয়ে অকপট ঋদ্ধি সেন। মুম্বইতে ছবির প্রমোশন এবং বিজ্ঞাপনী শুটের মাঝে সময় বার করে কে ‘ভিভান’ শেয়ার করলেন তাঁর আগামীর পরিকল্পনা।

প্রশ্ন: ‘কহানি’র পল্টু থেকে সিঙ্গল মাদার ইলা-র ছেলে, এই পথে কতটা রোমাঞ্চ?

ঋদ্ধি: ভীষণ। এই পথে পাল্লা দিয়ে বয়সও বেড়েছে। কোনও কিছুই কনস্ট্যান্ট ছিল না। সব চরিত্র আর তার শেড্স ভিন্ন ছিল। এ সবের পিছনে একটা ভাল লাগাও কাজ করেছে। আমি যথেষ্ট ভাগ্যবান এ সব চরিত্র পেয়ে।

প্রশ্ন: লিওন-এ নিকোল কিডম্যান, শৈশবের ফ্যান্টাসি। তাঁর সঙ্গে একই ক্রেডিট টাইটেলে নাম থাকা কতটা অনুপ্রেরণা জোগায়?

ঋদ্ধি: বিশাল, অসামান্য ছবি। যথেষ্ট স্ক্রিন স্পেস দেওয়া হয়েছে। আমি তাঁর জন্য কৃতজ্ঞ ও সম্মানিত। ছবির পরিচালকের সঙ্গে আমার সম্পর্ক খুব ভাল।

প্রশ্ন: নগরকীর্তনে পরিমল বেশি প্রাপ্তবয়স্ক না সমান্তরালে অর্ক?

ঋদ্ধি: অবশ্যই পরিমল। এই চরিত্রের সঙ্গে অন্য চরিত্রের কোনও তুলনাই হয় না। যদিও নগরকীর্তনে এখনও আমার লুক প্রকাশ হয়নি। সম্ভবত ডিসেম্বরে প্রকাশ করা হবে।


‘হেলিকপ্টার ইলা’র পোস্টারে কাজল এবং ঋদ্ধি।

প্রশ্ন: রুপোলি পর্দায় মা হিসেবে কাজল দেবগণকে পাওয়া। অজয় দেবগণ আর পেন প্রোডাকশন হাউস! নিজের প্রোফাইল আপডেটেশনের জন্য এই প্ল্যাটফর্ম কতটা ইনস্টিটিউট হিসেবে কাজ করেছে?

ঋদ্ধি: খুব বড় সুযোগ। সুন্দর ইন্সপিরেশনাল গল্প। মা আর বউ— এই শব্দ দু’টি মেয়েদের পিছনে ট্যাগ হিসেবে লাগিয়ে দেওয়া হয়। ফলে অনেক ‘ডু’জ অ্যান্ত ডোন্ট’জ’ চলে আসে। কিন্তু আমি মনে করি, এক জন চাকুরিরতা মহিলাও ভাল মা হতে পারেন। এই ছবিতে গতে বাঁধা কিছু দেখানো হয়নি। রাজকুমার হিরানির ছবিতে যেমন হিউমার, ফিল গুড-এর মধ্যে থেকেও একটা সামাজিক বার্তা দেওয়া হয়। এই ছবিতেও তেমনটা দেখানো হয়েছে। ছবিটা বেশ এন্টারটেইনিং। এ ছবি দেখার পর মহিলাদের প্রতি সমাজের শ্রদ্ধা বাড়বে। আমার সঙ্গে কাজ করে অজয় স্যর এবং কাজল ম্যাম খুব খুশি। এ সবের জন্য ছবির পরিচালক প্রদীপ স্যরকে ধন্যবাদ।

প্রশ্ন: এই ছবির শুটিং অভিজ্ঞতা কেমন?

ঋদ্ধি: প্রথম দিন থেকে খুব উপভোগ করেছি। কথাই আছে মর্নিং শোজ দ্য ডে। আনপ্ল্যানড ভাবে কাজ হলেও প্রচুর রিহার্সাল হয়েছে। ওয়ার্কশপ হয়েছে। কাজল ম্যামের মতো এত বড় অভিনেতার সঙ্গে কাজ করার সময় কোনও জড়তাই অনুভব করিনি। তবে একটু নার্ভাস ছিলাম। ওঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দিয়েছি। উল্লেখ্য এই ছবিতে ঋদ্ধির চরিত্রের নাম ভিভান।

আরও পড়ুন, ‘ভারত’-এ সলমনের বাবার ভূমিকায় কাকে দেখা যাবে জানেন?

প্রশ্ন: হলিউড, বলিউড, টলিউড— তিনটি মাধ্যমেই কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে। কী মনে হয়, কোন মাধ্যমে কাস্টিং কাউচের কামড় বেশি?

ঋদ্ধি: নেটফ্লিক্স-অ্যামাজনের যুগে সেলুলয়েডেও বেশ ভাল কাজ হচ্ছে। একমাত্র বাজেট ছাড়া দু’টি মাধ্যমে কোনও পার্থক্য নেই। তবে এ সব ব্যাপারে কাস্টিং অনেকটা নির্ভর করে প্রযোজক-পরিচালকের ওপর। ফলে মেয়েদের কাছে সমস্যাটা বেশি। তবে কাজটা মন দিয়ে করলে এই সমস্যা ওভারকাম করা যায়। অত্যন্ত সচেতন হতে হবে। কারণ হলিউডে যখন কাস্টিং কাউচ রয়েছে তখন বলিউড-টলিউডেও থাকবে। সাম্প্রতিক হলিউডের এক নম্বর প্রযোজকের বিরুদ্ধে কাস্টিং কাউচ নিয়ে সরব হয়েছেন অনেক অভিনেত্রী। তাই এখানেও মহিলারা নিরাপদ নন। এটা মূলত শিক্ষার অভাব। বিদেশের থেকে ভারতে মিডিয়াম অব এন্টারটেনমেন্ট বেশি। থিয়েটার, সিনেমা, গান। কিন্তু এ সবের সদ্ব্যবহার হচ্ছে না। সঙ্কীর্ণতা বাড়ছে।

প্রশ্ন: সাম্প্রতিক ইন্টারভিউ বলছে, জাতীয় পুরস্কার কিছু লোকের মুখ বন্ধ করেছে। এই কিছু লোক কারা?

ঋদ্ধি: প্রথমেই বলি, জাতীয় পুরস্কার বাবা-মা আর পরিবারকে উৎসর্গ করা। কারণ সবার আগে তাঁদের ধন্যবাদ প্রাপ্য। আমাকে গতানুগতিক শিক্ষা ব্যবস্থার বাইরে এনে ইলেভেন-টুয়েলভ প্রাইভেটে পড়িয়েছেন বাবা-মা। সে জন্য তাঁদের অনেক কথা শুনতে হয়েছে। বাবা-মা-কে বলা হত, ছেলেকে রেখেঢেকে কথা বলা শেখাও। কিন্তু তাঁরা কখনওই সে সবে আমল দেননি। তাই জাতীয় পুরস্কার সে রকম কিছু লোকের মুখ তো নিশ্চয় বন্ধ করেছে।

প্রশ্ন: স্টার কিড ঋদ্ধি সেন না স্টার’স ফাদার কৌশিক সেন। কোন ডাকটা বেশি সম্মানের?

ঋদ্ধি: অবশ্যই স্টার কিড্স। আমার সাফল্যের পিছনে বাবা-মায়ের যে অবদান, তার জন্য আমি স্টার কিডস হয়ে থাকতে চাই?


তারায়-তারায় নাটকের একটি মুহূর্ত।

প্রশ্ন: ফ্রেন্ডশিপ ডে’তে মায়ের সঙ্গে ছবি পোস্ট করে ঋদ্ধি সেন জানিয়েছেন যে কে তাঁর প্রিয় বন্ধু। তা-ও এমন অনেক কথা আছে যা হয়তো বা মা-কে বলা যায় না। কিন্তু বন্ধুকে বলা যায়। এ ব্যাপারে ঋদ্ধির অভিজ্ঞতা কেমন?

ঋদ্ধি: আমার কাছে সবচেয়ে ভাল বন্ধু মা-বাবা। তাঁদেরকে সব কথা বলি।

প্রশ্ন: বান্ধবী না বন্ধু, কার সঙ্গে থাকলে মনে হয় কোয়ালিটি টাইম?

ঋদ্ধি: বান্ধবী বা বন্ধু, আলাদা করে ক্যাটেগোরাইজ করি না। সুরঙ্গমা আমার খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু আর ঋতব্রত বেস্ট ফ্রেন্ড। দু’জনের সঙ্গেই বন্ডিং এক রকম। ওদের সবচেয়ে ভাল দিক হল কোনও কিছু পছন্দ না হলে মুখের ওপর বলা। তবে আমি জানি ঋতব্রত আমাকে নিয়ে খুব হ্যাপি। ও-ই প্রথম যে আমার জাতীয় পুরস্কারের বিষয়টি সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিল।

আরও পড়ুন, জাহ্নবীর পরনে শ্রীদেবীর ওড়না, নস্ট্যালজিক নেটিজেনরা বললেন...

প্রশ্ন: ঠাকুমা নাতিকে নিয়ে গর্বিত। আর কী ভাবে বেস্ট পারফরম্যান্স দিয়ে তাঁকে সারপ্রাইজ দেওয়া যায়?

ঋদ্ধি: শুনুন, এক জন শিল্পীর জীবনে বেস্ট বলে কিছু হয় না। সব পারফরম্যান্সই তাঁর কাছে বেস্ট। আমি শুধু আরও ভাল মানুষ হতে চাই, যাতে ঠাকুমা আরও খুশি হন।

প্রশ্ন: আপাতত পাওয়া সাফল্য এবং এই যাত্রার পিছনে ‘স্বপ্নসন্ধানী’ কতটা কী ভাবে সাহায্য করেছে?

ঋদ্ধি: থিয়েটার আমাকে নানা ভাবে মেক ওভারে সাহায্য করেছে। কস্টিউম থেকে লাইট— পর্দার পিছনে যা যা কাজ আছে থিয়েটারের সবেতে কাজ করতে চাই।

ছবি: ঋদ্ধির ফেসবুক পেজের সৌজন্যে।

(সেলেব্রিটি ইন্টারভিউ, সেলেব্রিটিদের লাভস্টোরি, তারকাদের বিয়ে, তারকাদের জন্মদিন থেকে স্টার কিডসদের খবর - সমস্ত সেলেব্রিটি গসিপ পড়তে চোখ রাখুন আমাদের বিনোদন বিভাগে।)

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy