যৌনদৃশ্য তো বাদই গেল। সেন্সর বোর্ডের পরামর্শে আলিজে-আয়ানের চুমুর ৫০ শতাংশও ছবিতে নেই। আবার দৃশ্যে ‘ফাওয়াদ-পাক’ সংযোগে ৫ কোটির দেওয়ার সিদ্ধান্তও রয়েছে। সব নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গেই ছিল। ছবি মুক্তির পরের সংযোজন ‘উয়ো মহম্মদ রফি, যো গাতে কম অউর যাদা রোতে থে!’ সংলাপ, অতএব গোদের ওপর বিষফোড়া, অ্যায় দিল সত্যিই মুশকিলে পরিণত হল। রফির গানকে নিয়ে এ হেন টিপ্পনিতে সরবও হয়েছেন রফি পুত্র, সোনু নিগম এবং রফি অনুরাগীরা।
পরিচালক কর্ণ ছিলেন চুপচাপ। তবে আর কতদিন!
এ বার মুখ খুলেই ফেললেন। তবে এ মুখ খোলাতে অভিমান এবং ‘রফি প্রেম’ দুইই রেখেছিলেন তিনি। সেটা কেমন?
কর্ণ যা বললেন: ‘‘পরিচালকদের অনেকেই দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য করছে। কিছু গায়কও নিজেদের গুরুত্ব বাড়াতে সামিল হয়েছেন। তাঁরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তাই এ মন্তব্য।’’
কর্ণ যা করলেন: গানটির দু’-এক কলি অবশ্য ছবিতে ব্যবহার করেছিলেন তিনি। ১৯৬৫ তে মুক্তি পাওয়া ‘রফি’ গীতি ‘অ্যান ইভনিং ইন প্যারিস। ছবির সময় বেড়ে যেত তাই গোটা গানটি বাদ দিয়েছিলেন। তবে টুইটারে পোস্ট করেছেন সেই গান। ‘‘অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল’ এর বাদ যাওয়া গানটি রইল আপনাদের জন্য। ভালবাসার জন্য ধন্যবাদ, আনন্দে থাকুন।’’
রণবীর এবং অনুষ্কা তাঁদের দুজনের কানেই হেডফোন। বাজছে রণবীরের ‘ঠাকুরদা’ শাম্মি কাপুরের ‘অ্যান ইভনিং ইন প্যারিস’। আর সেই পাগলামিতে তাঁরা নেচে বেড়াচ্ছে গোটা প্যারিস।
শহরের মনুমেন্টস, পার্ক, ক্যাফে, রিভারফ্রন্টে সব মিলিয়ে দৃশ্যটি আরও ফুটে উঠেছে। অনুষ্কা রণবীরের কেমিস্ট্রি তো রয়েইছে।
যা হল: ‘সাপও মরবে লাঠি ও ভাঙবে না’ এ প্রবাদ বাক্য অনেক দিনের। এতে রফিজির প্রতি কর্ণের টানও বাড়ল, অন্যদিকে সমালোচকদের উপযুক্ত জবাবও দেওয়া হল।
তবে মুশকিল কাটেনি ছবিটির৷ বিতর্ক পিছুও ছাড়েনি৷ এসব টপকেও ছবির ব্যবসায় কোনও হেরফের হয়নি৷ মুক্তির দ্বিতীয় সপ্তাহে আরও ৮৪.৭৫ কোটির ব্যবসা করে ফেলেছে বিশ্বজুড়ে ‘অ্যায় দিল’। আপাতত ‘মুশকিল’ হয়নি।
অনুষ্কা-রণবীরের খুনসুটি ভরা ‘অ্যান ইভনিং ইন প্যারিস’এর গানটির ভিডিও লিঙ্ক নীচে রইল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy