‘এক লড়কি কো দেখা তো অ্যায়সা লগা’ গেয়ে স্টুডিয়ো থেকে বেরিয়ে আসার পরে আরডির অন্য রূপ দেখেছিলেন কুমার শানু। — ফাইল চিত্র।
‘১৯৪২: আ লভ স্টোরি’ ছবির জন্য গান রেকর্ড করা চলছে তখন। ছবির সঙ্গীত পরিচালক আরডি বর্মণের সুরে স্টুডিয়োয় ‘এক লড়কি কো দেখা তো অ্যায়সা লগা’ গান গাইছেন কুমার শানু। বলিউডের সেই সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় প্লেব্যাক গায়ক কুমার শানু। আরডি বর্মণের পরামর্শ মতোই গান গাইলেন শানু। কিন্তু স্টুডিয়ো থেকেই বিপত্তি। কুমার শানুকে জড়িয়ে ধরে, চুমু খাওয়ার পরেই নাকি গালিগালাজ করা শুরু করে দেন পঞ্চম। অবাক হয়ে যান শানু নিজেও। তবে, তার পরে আর়ডির ওই আচরণের নেপথ্যে আসল কারণ জানতে পারেন তিনি।
সঙ্গীত পরিচালক হিসাবে আরডি বর্মণের শেষ কাজ ‘১৯৪২: আ লভ স্টোরি’। ছবির গানের কথা লিখেছিলেন গীতিকার জাভেদ আখতার। ‘এক লড়কি কো দেখা তো অ্যায়সা লগা’ গানের কথায় অনেকগুলি ‘জ্যায়সে’ শব্দ রয়েছে। গান রেকর্ড করার আগে কুমার শানুকে পঞ্চম বলেছিলেন, তিনি যেন প্রতিটা ‘জ্যায়সে’ আলাদা আলাদা রকম ভাবে গান। সে ভাবে গাইলেই নাকি গান হিট! পঞ্চমের পরামর্শ মতো সে ভাবেই গোটা গান গেয়েছিলেন শানু। মুক্তি পাওয়ার পরে সুপারহিটও হয়েছিল ওই গান। তবে গান গেয়ে স্টুডিয়ো থেকে বেরিয়ে আসার পরে আরডির অন্য রূপ দেখেছিলেন কুমার শানু।
স্মৃতিচারণ করে শানু বলেন, ‘‘পঞ্চমদার দূরদৃষ্টি ছিল অসামান্য। একটা গানকে কী ভাবে হিট গানে পরিণত করতে হয়, উনি তা জানতেন। আমি গান গেয়ে বেরিয়ে আসার পরে পঞ্চমদা আমাকে জড়িয়ে ধরে চুমু খান। তারপরেই শুরু হয় ওঁর অকথ্য গালিগালাজ। আর সেই গালিগালাজের কোনও বাছবিচার নেই।’’ কিন্তু কেন? শানু বলেন, ‘‘পরে আমি জানতে পারি, ওঁর গানের রেকর্ডিং খুব পছন্দ হলেই নাকি উনি এ ভাবে গালিগালাজ করতেন! সেটা শুনে আমি একটু স্বস্তি পাই।’’
১৯৯৪ সালে মুক্তি পেয়েছিল বিধু বিনোদ চোপড়া পরিচালিত ছবি ‘১৯৪২: আ লভ স্টোরি’। ছবিতে অভিনয় করেছিলেন অনিল কপূর, মণীষা কৈরালা, জ্যাকি শ্রফ, অনুপম খের, ড্যানি ডেনজ়ংপা-সহ আরও অনেকে। ছবির গীতিকারের ভূমিকায় ছিলেন জাভেদ আখতার। গানে সুর দিয়েছিলেন আরডি। সুরকার হিসাবে এটিই শেষ ছবি আরডির। ছবি মুক্তি পাওয়ার আগেই প্রয়াত হন বলিউডের সবার প্রিয় পঞ্চমদা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy