তরুণ মজুমদারের স্মৃতিতে রঞ্জিত মল্লিক
জীবনের অনেক বছর পেরিয়ে এসে ওঁর সঙ্গে কাজ করার সুযোগ হয় আমার। তরুণবাবু তখন প্রায় ৭৭। আমারও তখন চুলে পাক ধরেছে। একসঙ্গে সেই প্রথম কাজ, ‘চাঁদের বাড়ি’। এতগুলো ছবির পর পরিচালক হিসেবে পাই তাঁকে। ভাল, গুণী মানুষের সঙ্গে কাজ করতে কার না ভাল লাগে। ২০০৭ সালে এসে সেই স্বপ্ন পূরণ হয়।
খুব বেশি সময় কাটাতে পারিনি একসঙ্গে। আমার থেকে অনেক সিনিয়র ছিলেন। বেশিরভাগ সময় ছবির চরিত্র, দৃশ্য নিয়েই আলোচনা হত। খুব অল্প সময়ই ওঁর থেকে অনেক কিছু শিখেছি। শেষ কয়েক দিন ধরেই খবরে দেখছিলাম উনি খুবই অসুস্থ ছিলেন। সেই সময়কার সব মানুষই একে একে চলে যাচ্ছেন। ঐ প্রজন্মের পরিচালকদের মধ্যে তরুণবাবুই মনে হয় শেষ, যিনি ছিলেন।
অসংখ্য ভাল-ভাল ছবি তৈরি করেছিলেন মানুষটা। ‘গণদেবতা’, ‘শ্রীমান পৃথ্বীরাজ’, ‘বালিকা বধূ’, ‘পলাতক’— আমার সৌভাগ্য যে আমি ওঁর পরিচালিত একটি ছবিতে অভিনয় করতে পেরেছি।
সময় তো কখনও থেমে থাকে না। এক দিন না এক দিন সবাইকে চলে যেতে হয়। মানুষ চলে যায়, রয়ে যায় তাঁর কাজ। উনি তাঁর কাজের মধ্যে দিয়েই বেঁচে থাকবেন। আমি তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy