রাজেশ খালি ভাবতেন এত সুদর্শন শাহিদ, তাঁর সঙ্গে কি ওই মেয়েটিকে মানাবে? ছবি: সংগৃহীত।
জীবনের এগারোটি বছর শাহিদ কপূর কাটিয়েছেন তাঁর সৎবাবা রাজেশ খট্টরের সঙ্গে। ন’বছর বয়স থেকে শাহিদ থাকতেন রাজেশের সঙ্গে। তার আগে মা নীলিমা আজ়িমই ছিলেন শাহিদের অভিভাবক। রাজেশকে মেনে নিতে অসুবিধে হয়নি ছোট্ট শাহিদের, কারণ, রাজেশের দাবি তাঁর বেশ একটা পিতৃসুলভ ভাবমূর্তি ছিল বরাবরই।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে রাজেশ জানিয়েছেন, তিনি, নীলিমা এবং শাহিদ অত্যন্ত স্বাভাবিক এক পরিবারের মতো থাকতেন। শাহিদের ছোটবেলার কিছু স্মৃতি ওই সাক্ষাৎকারেই ভাগ করে নেন রাজেশ। তাঁর কথায়, “ছোটবেলায় স্কুলে একটি মেয়েকে ও পছন্দ করত। তার ছবি এনে বাড়িতে রেখেছিল। আমি ঠাট্টা-ইয়ার্কি করায় ও খুব ভয়ও পেয়ে গিয়েছিল। কী ভাবে ব্যাপারটা সামলাব, বুঝতে পারছিলাম না। আমি ভেবেছিলাম, মেয়েটিকে শাহিদ হয়তো বিয়ে করবে। ওর মা আমাকে বোঝায়, ও রকম ভাবে হবে না কিছু। ছবি থাকলে থাক না, পরে আর ও সবের কোনও গুরুত্ব থাকবে না।” রাজেশের মাথা থেকে ব্যাপারটা যায়নি সহজে। তিনি খালি ভাবতেন এত সুদর্শন শাহিদ, তাঁর সঙ্গে কি ওই মেয়েটিকে মানাবে? বলতে গিয়ে হেসেই ফেললেন রাজেশ।
পড়াশোনায় ততটা তুখোড় ছিলেন না শাহিদ। তাই তাঁকে নানা রকম লোভ দেখিয়ে পরীক্ষায় পাশ করানোর চেষ্টা চলত। গড়পড়তা নম্বর পেতেন। কিন্তু এক বার সেই প্রথম শাহিদকেও চিন্তায় পড়তে দেখা গেল। বড় কলেজে ভর্তি হতে গেলে বেশি নম্বর যে পেতেই হবে! রাজেশ জানান, একটা চুক্তিতে আসেন তাঁরা বাবা-ছেলে আর মা। শাহিদকে বলা হয়েছিল, “তুমি যদি আশি শতাংশ নম্বর পাও, তবে যা চাইবে, তা-ই পাবে। আর তা না হলে আমরা যা বলব, সেটাই শুনতে হবে।”
বলিউডের খ্যাতনামী নৃত্য পরিকল্পক শামাক দাভরের ক্লাসে ভর্তি হতে চেয়েছিলেন শাহিদ। তা-ই করা হয়। পরবর্তী কালে এক অভিনেত্রীর সঙ্গে সংসার পাতেন রাজেশ। তবু শাহিদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ তিনি। বলেন, “ও সব সময় মানুষকে সম্মান দেয়। খুব ভাল কাজও করছে। আজ যা কিছু ও অর্জন করেছে, কঠোর পরিশ্রম করেই পেয়েছে।” বর্তমানে দুই সন্তানকে নিয়ে মীরা রাজপুতের সঙ্গে সুখে সংসার করছেন শাহিদ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy