রাশিয়ার ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে কিভে একটি ভারতীয় ওষুধ সংস্থা ‘কুসুম’-এর গুদাম ধ্বংস হয়ে গিয়েছে বলে দাবি করল ইউক্রেন।
সমাজমাধ্যমে দিল্লির ইউক্রেন দূতাবাসের দাবি, রাশিয়া ‘পরিকল্পনা মাফিকই’ ভারতীয় বাণিজ্যিক সংস্থাগুলিকে নিশানা করছে। তাদের বক্তব্য, ‘‘মস্কো মুখে ভারতের সঙ্গে বিশেষ মৈত্রীর কথা বলে। অন্য দিকে পরিকল্পনা মাফিক ভারতীয় বাণিজ্যিক সংস্থাগুলিকে নিশানা করছে। ধ্বংস করছে শিশু ও বয়স্কদের জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধের সম্ভারকে।’’
ইউক্রেনে নিযুক্ত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত মার্টিন হ্যারিসও কিভে একটি ওষুধ সংস্থার গুদামে হামলার কথা স্বীকার করেছেন। তবে তাঁর মতে, গুদামে আঘাত হেনেছে রুশ ড্রোন। ক্ষেপণাস্ত্র নয়। তবে সেটি কোনও ভারতীয় সংস্থার গুদাম কি না, তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি হ্যারিস।
রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতে এখনও পর্যন্ত ভারসাম্যের কূটনীতি করে চলেছে দিল্লি। তবে রুশ সেনায় ভারতীয়দের অবৈধ ভাবে নিয়োগ করা নিয়ে মস্কোর সঙ্গে টানাপড়েন হয়েছে দিল্লির।
অন্য দিকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে বার্লিন তথা জার্মানির ভাগ হওয়ার কথা উল্লেখ করে ইউক্রেন সঙ্কট সমাধানের সূত্র দিয়েছেন আমেরিকার ইউক্রেন সংক্রান্ত বিশেষ দূত কিথ কেলগ। লন্ডনের একটি সংবাদপত্র সূত্রে খবর, ইউক্রেনকে দুটি এলাকায় ভাগ করার পরামর্শ দিয়েছেন কেলগ। তাঁর মতে, ইউক্রনের পশ্চিমাংশে ব্রিটিশ ও ফরাসি বাহিনী শান্তিরক্ষার দায়িত্ব নিতে পারে। অন্য দিকে, পূর্বাংশে দায়িত্ব নিক রুশ বাহিনী। পরে অবশ্য তিনি এই মন্তব্যের দায় অস্বীকার করেন। কিথের দাবি, ইউক্রেনের সংহতি রক্ষা করতে সহযোগী দেশগুলির সেনা কী ভূমিকা পালন করতে পারে তা নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন তিনি। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি বলেন, ‘‘জার্মানির মতো ঘটনা কখনওই ইউক্রেনে ঘটবে না।’’
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)