পর্দায় তাপস পালের সঙ্গে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ফোনেই কেঁদে ফেললেন তিনি। অভিনেতা তাপস পালের ‘দুরন্ত প্রেম’-এর নায়িকা রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথম কয়েক মিনিট কিছুই বলতে পারলেন না তিনি।
একটু ধাতস্থ হয়ে বললেন, ‘‘এর থেকে খারাপ খবর আর কিছু হতে পারে না। সেই ’৯৪ সাল থেকে যোগাযোগ। আমার প্রথম ছবির হিরো। সেখান থেকে শুরু। আমি এখনও ভাবতে পারছি না..’’ আবার কেঁদে ফেললেন রচনা।
আসলে অসুস্থ হওয়ার পর খুব ভাল যোগাযোগ ছিল না বলে জানালেন রচনা। ‘‘থেকে থেকেই বলত বাড়ি আয়। আমি নন্দিনীদি, লাবণী সরকার, অভিষেক চট্টোপাধ্যায় আমরা একটা পরিবারের মতো ছিলাম। একসঙ্গে কত গল্প কত দিন-রাত কাটিয়েছে। সেগুলোই সবচেয়ে বেশি মনে পড়ছে। ভীষণ পুরনো মানুষদের দেখতে চাইত শেষের দিকে। পুরনো কথা বলত। যাব যাব করে যাওয়া হলো না বলে আরও খারাপ লাগছে আজ।’’ বললেন রচনা।
আরও পড়ুন: প্রয়াত অভিনেতা তাপস পাল
বার বার ফিরে যাচ্ছিলেন পুরনো দিনের কথায়। প্রথম দিনের ফ্লোর থেকে শুরু করে কর্মজীবনের নানা ঘটনার সাক্ষী, সহযোগী তাপস পালের কথাই মনে পড়ছে তাঁর।
‘‘কখনো বুঝতে দেননি একজন অতো বড় মাপের অভিনেতার সঙ্গে অভিনয় করছি। সম্পর্ককে সহজ করে নিতেন বলে অভিনয়টাও অনায়সে বেরিয়ে আসত।’’ স্মৃতি থেকে বললেন রচনা। তাঁর মনে হয়, ‘‘উত্তমকুমারের পর বাংলা ছবিতে অন্যতম সেরা অভিনেতা তাপসদা। প্রসেনজিৎ নিজেই বলে তাপস পাল অনবদ্য অভিনেতা।’’ তাপস পালের অভিনয় সত্তার নানা দিকের কথা প্রকাশ করে রচনা বললেন,‘‘বাংলায় এমন কোনও নায়িকা নেই যাঁর সঙ্গে তাপসদা অভিনয় করেননি। ভুল জীবনে প্রত্যেক মানুষ করে। এ নিয়ে কথা বলতে চাই না। তবে মানুষ তাপস পাল এক কথায় অসাধারণ। সাম্প্রতিক অতীতে তো আর ওর সঙ্গে ফ্লোরে দেখা হতো না। তবুও খুব ভাল যোগাযোগ ছিল। কাজের বাইরে সম্পর্ক তৈরি করা, সঙ্গে থাকার মানুষ ছিলেন তাপসদা। খুব কষ্ট হচ্ছে একে একে কাছের মানুষ সবাই চলে যাচ্ছে’’ গলা ধরে এল রচনার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy