Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪
Entertainment News

বৃষ্টিভেজা নায়িকা হিসেবে তিনিই নাকি প্রথম পছন্দ!

বাবার সঙ্গে লড়াই করে যাদবপুরে ফিল্ম স্টাডিজে ভর্তি হওয়া থেকে অভয় দেওলের ছবিতে কাজ। ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে স্রবন্তী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আড্ডা দিলেন পূজারিনি ঘোষ।বাবার সঙ্গে লড়াই করে যাদবপুরে ফিল্ম স্টাডিজে ভর্তি হওয়া থেকে অভয় দেওলের ছবিতে কাজ। ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে স্রবন্তী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আড্ডা দিলেন পূজারিনি ঘোষ।

ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকার মন্ত্র জেনেছি। বলছেন নায়িকা। —নিজস্ব চিত্র।

ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকার মন্ত্র জেনেছি। বলছেন নায়িকা। —নিজস্ব চিত্র।

শেষ আপডেট: ০৪ জুলাই ২০১৮ ১২:২৪
Share: Save:

বৃষ্টিভেজা সুন্দরী অভিনেত্রীর ছবির দরকার হলে লোকে পূজারিনির কথা ভাবে কেন?
সত্যি যদি ভাবে তো আমি খুব খুশি। দেখুন, সেই দেবিকারানির যুগ থেকে আমরা জানি সেলুলয়েডে নায়িকা মানেই লাস্য,রোম্যান্স। বৃষ্টি মানেই তো রোম্যান্স। সেখানে লোকে আমার কথা যদি ভাবে, ভাল তো। তার মানে এটাও আবার নয় যে ছবির কাজ ছেড়ে কেবল বৃষ্টিভেজা মডেল হয়ে থেকে যাব।


তা হলে ইদানীং ফেসবুক আর ইনস্টাগ্রামে লোকে শ্যুটের ছবি না দিয়ে খোলামেলা ছবি দেয় কেন? এটা কি পরিচালক-প্রযোজকদের আকৃষ্ট করার জন্য?
একেবারেই নয়। তা হলে সকলে পরিচালক-প্রযোজকদের হোয়াটস্অ্যাপে পাঠালেই পারত। কই, সেটা কি হয়? আসলে প্রত্যেকেই চায় নিজেদের ফলোয়ারের সংখ্যা বাড়াতে। এখন সময় বদলেছে। ফ্যান নয়, লোকে ফলোয়ারের সংখ্যা বাড়াতে চায়। আর একটু খেয়াল করলেই দেখা যাবে এই ফলোয়ারদের মধ্যে অনেকেই ছবির তলায় ইচ্ছে করে খুব বাজে কমেন্ট করে যাতে সেই সব কমেন্ট আর মানুষগুলো আমাদের নজরে আসে। এটা এক ধরনের হিউম্যান সাইকোলজি, আর কী বলি? আমাকেই তো সবাই বলে হট ছবি দে, লাইক বাড়বে। তবে আমরা সকলেই যে যা কাজ করব নিশ্চয়ই চাইব সকলে জানুক।

এখন কী কাজ করছেন?
‘রডোডেনড্রন’ ছবির কাজ শেষ হল। আর রানাদা-সুদেষ্ণাদির ওয়েব সিরিজের কাজ করলাম আর অভয় দেওলের ‘জেল 50’ ছবির ডাবিং শেষ করলাম। পীযূষ মিশ্র আর অভয় দেওলের সঙ্গে কাজ করাই একটা অভিজ্ঞতা।

আরও পড়ুন
তিন এক্কে তিন, কেয়ার অব সুদীপ্তা

পূজারিনি ঘোষ। —নিজস্ব চিত্র।


মুম্বইতে নিশ্চয়ই আরও কাজ করবেন?
ইচ্ছে তো আছে। সেপ্টেম্বরে আর একটা কাজ হবে। জানাব ফাইনাল হলে। এখন কিন্তু গ্লোবাল প্ল্যাটফর্ম। আলাদা করে মুম্বই-কলকাতা না ভাবাই ভাল।

কতখানি স্ট্রাগল করতে হচ্ছে কাজ পেতে?
বাড়ির সঙ্গে বড় লড়াই চলেছে। অভিনয় করব, ছোটবেলা থেকে মনে মনে ঠিক করে নিলেও, বাবা-মা একেবারেই এই প্রফেশন পছন্দ করেননি। সেটা একটা বড় স্ট্রাগল। তার পর ইন্ডাস্ট্রিতে ‘ওপেন টি বায়োস্কোপ’-এ অবজারভার হিসেবে থাকলাম। সকলে খুশি। আমি ক্যামেরার পেছনে থাকব। কিন্তু যেই ক্যামেরার সামনে এলাম মুখগুলো বদলে গেল। আজও এ দিক-ও দিক থেকে শুনি, ও আবার অভিনয় করে! আচ্ছা, ও এত ছবিতে কাজ পাচ্ছে কী করে? এই তো অবস্থা। তবে তার মধ্যেও অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ের কাছে অনেক শিখেছি। পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কাজ করতে করতে ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকার মন্ত্র জেনেছি। আর যার নাম না বললেই নয় তিনি আদিল হোসেন। কোনও স্ক্রিপ্টে কোথাও আটকালে ওঁকে ফোন করি। যে ভাবে আমায় হেল্প করেন ভাবাই যায় না।

আরও পড়ুন
সঞ্জয়ের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ এই ৫ মহিলা বাদ পড়েছেন ‘সঞ্জু’তে!


এত অ্যাডভাইজার থাকা সত্ত্বেও ছবি করার সিদ্ধান্ত আপনার ঠিক নয়...
আমি ফিল্মের পরিবার থেকে আসিনি।আগে হঠাৎ করে কেউ বলেছে কম বাজেট, ছবি করে দে। আমি ফস করে করে দিয়েছি। পরে বুঝেছি ওটা না করলেও হত। এখন ‘না’ বলতে শিখেছি। তবে এই ইন্ডাস্ট্রিতে আমার ক্ষেত্রে তো দেখলাম কোনও দিনই কারওর কাছে বাজেট থাকে না।

সিরিয়ালে যেতে পারেন তো। ওখানে বাজেটের সমস্যা নেই, স্থায়িত্ব আছে...
সিরিয়ালে গেলে আর ছবি করতে পারব না। আর টাকার জন্যই আমি শুধু কাজ করি না। এটা প্লিজ লিখবেন।

আপনি তো আবার পরিচালক...
কয়েকটা অ্যাড ফিল্ম ডিরেক্ট করেছি।

আপনাকে সবাই সাহসী বলে কেন?
দেখুন সাহসী বললে তো ভাল। তবে কিছু আলাদা করে বোঝানোর জন্য আমি সাহসী হয় উঠিনি। হ্যাঁ, দেবারতি গুপ্তর ‘কুহেলী’-তে কিছু বোল্ড দৃশ্য ছিল।

স্বপ্ন দেখেন?
খুব অদ্ভুত। কেট উইনস্লেট আর টম হ্যাংসের সঙ্গে কাজ করতে চাই।

আর কবিতা?
ইসস্! ওটা তো লুকিয়ে আছে! কোনও দিন বই হবে হয়তো। সামনে আনি না।

অন্য বিষয়গুলি:

Pujarini Ghosh Tollywood Celebrities
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE