(বাঁ দিকে) পরিণীতি চোপড়া ও রাঘব চড্ডা (ডান দিকে) প্রিয়ঙ্কা চোপড়া ও নিক জোনাস। ছবি: সংগৃহীত।
পরিণীতি চোপড়ার বিয়ের সাজ নিয়ে এমনিতেই মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে নেটাগরিকদের মধ্যে। বিয়েতে আইভরি থিমে সেজেছিলেন অভিনেত্রী। বেজ ও সাদার রংমিলান্তিতে সেজে ছিলেন বর-কনে। যদিও কেউ কেউ তাঁদের এমন সাজপোশাকের সঙ্গে মিল খুঁজে পেয়েছেন আলিয়া ভট্ট-রণবীর কপূরের বিয়ের পোশাকের সঙ্গে। আবার অভিনেত্রীর সাদামাটা সাজ, একেবারে নামমাত্র সাজসজ্জা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। এই বিতর্কে যেন খানিকটা ঘৃতাহুতি দিলেন প্রিয়ঙ্কার ফটোগ্রাফার।
এমনিতেই বোনের বিয়েতে প্রিয়ঙ্কার অনুপস্থিতি নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। গত সপ্তাহের প্রথম দিক থেকে রাঘব ও পরিণীতির বিয়ের তোড়জোড় শুরু হওয়ার সময় কানাঘুষো শোনা গিয়েছিল, গোটা সপ্তাহ থাকতে না পারলেও বোনের বিয়ের আগের দিন সোজা উদয়পুরে গিয়ে উপস্থিত হবেন প্রিয়ঙ্কা। কিন্তু তা হয়নি। পরিণীতির বিয়ের মাত্র এক দিন আগে সমাজমাধ্যমের পাতায় তাঁকে বিয়ের শুভকামনা জানান প্রিয়ঙ্কা। তখন থেকে জল্পনা শুরু হয় পরিণীতির বিয়েতে প্রিয়ঙ্কার উপস্থিতি থাকবে কি না, তা নিয়ে। তার পরেও আশায় বুক বেঁধেছিলেন অনুরাগীরা। তবে সব জল্পনায় জল ঢেলে বোনের বিয়েতে এলেনই না প্রিয়ঙ্কা। অভিনেত্রীর মা জানিয়েছেন, মেয়ে কাজে ব্যস্ত থাকায় আসতে পারেননি বিয়েতে। কিন্তু আচমকা দুই বোনের বিয়ের ছবি দিয়ে বিতর্ক উস্কে দিলেন প্রিয়ঙ্কার বিয়ের ফটোগ্রাফার জোসেফ রেডিক। এই মুহূর্তে বলিউডের অভিনেত্রীরা বিয়ের জন্য হালকা রংকেই বেছে নিচ্ছেন। সম্প্রতি আলিয়া থেকে কিয়ারা— সকলেই নিজেদের বিয়েতে হালকা রঙের পোশাক পরেছিলেন। যদিও এঁদের মাঝে ছকভাঙা ছিলেন প্রিয়ঙ্কা চোপড়া। সব্যসাচী মুখোপাধ্যায়ের ডিজ়াইন করা লাল রঙের লেহঙ্গার নিকের সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন দেশি গার্ল। এ বার অভিনেত্রীর বিয়ের সেই ছবিই পোস্টে করে তাঁর ফোটোগ্রাফার লেখেন,‘‘ভারতীয় কনেরা নাকি আর রংবেরঙের পোশাক পরেন না। এ নিয়ে নানা রকম কথা হচ্ছে। আমার প্রিয় মানুষ প্রিয়ঙ্কা চোপড়া কিন্তু বিয়ের দিন এমনটা করেননি। ভালবেসে বেছে নিয়েছিলেন রংকেই। আমার দেশি গার্লের মতো আর কেউ নেই।”
ইতিমধ্যেই এই নিয়ে জলঘোলা শুরু হয়েছে নেটপাড়ায় কেউ বলছেন, “কেন হঠাৎ পরীর বিয়ের মাত্র দু’দিন পরে ওই পোস্ট করলেন জোসেফ? এর নেপথ্যে কি হাত রয়েছে প্রিয়ঙ্কার?” এক জন মন্তব্য করেছেন, “কিয়ারা তো তাঁর বিয়েতে আরও হালকা রঙের পোশাক পরেছিলেন। সে সময় কিন্তু আপনি কোনও মন্তব্য করেননি। কী এমন হল যে পরিণীতির বিয়ের দিন দুয়েক পর এমন মন্তব্য করতে হল আপনাকে?” যদিও পরে সেই পোস্ট মুছে দেন জোসেফ। কিন্তু তাতে কি রক্ষে আছে!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy