প্রিয়ঙ্কা চোপড়া। ছবি: সংগৃহীত।
বলিউডে সফল কেরিয়ার তৈরি করতে গিয়ে তারকাদের একাধিক স্বার্থত্যাগ করতে হয়। প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে মন শক্ত করতে হয়। প্রিয়ঙ্কা চোপড়ার ক্ষেত্রেও সেটাই ঘটেছিল। কেরিয়ারের শুরুর দিকে একটা সময়ে প্রিয়ঙ্কা চোপড়াকেও সেটাই করতে হয়েছিল। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে এই প্রসঙ্গে কথা বলেছেন ‘দেশি গার্ল’।
প্রিয়ঙ্কা জানিয়েছেন, একটা সময় পেশাদার জীবন এবং ব্যক্তিগত জীবনের মধ্যে সমতা বজায় রাখতে তিনি ব্যর্থ হয়েছিলেন। মাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে ভুলে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটিয়েছেন কিংবা দীপাবলিতে পরিবারকে সময় দিতে পারেননি। অভিনেত্রী বলেন, ‘‘যখন বছর কুড়ি বয়স, তখন আমি যে কত বার মায়ের জন্মদিন ভুলে গিয়েছি, তা বলে শেষ করতে পারব না। কত বার ইউরোপে শুটিং করার জন্য দীপাবলিতে বাড়িতে আসতে পারিনি। কিন্তু, এমন চলতে চলতেই এক দিন নিজের ভুল বুঝতে পারি।’’
আসলে প্রিয়ঙ্কার এই উপলব্ধির নেপথ্যে ছিল তাঁর বাবা অশোক চোপড়ার শারীরিক অসুস্থতা। অভিনেত্রী বলেন, ‘‘কিন্তু বাবার প্রয়াণের পর বুঝি, ওঁর সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য আর কোনও দীপাবলি অবিশষ্ট নেই। বাবা যখন গুরুতর অসুস্থ হলেন, তখন আমি বুঝতে পারলাম, জীবন খুবই ছোট। অথচ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছেড়ে আমরা কত অবান্তর জিনিস নিয়ে ব্যস্ত থাকি!’’ প্রিয়ঙ্কার মতে, কোনও ব্যক্তি যদি এটা উপলব্ধি করেন, তা হলে তা তাঁকে মাটিতে পা রেখে এগিয়ে চলতে সাহায্য করে।
২০১৩ সালে ক্যানসারে প্রয়াত হন প্রিয়ঙ্কার বাবা। তিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীতে চিকিৎসক ছিলেন। প্রিয়ঙ্কা যে তাঁর বাবার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন, সে কথা একাধিক সাক্ষাৎকারে উল্লেখ করেছেন। বাবার প্রয়াণের পর তিনি যে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন, সে কথাও জানিয়েছিলেন। অনুরাগীরা জানেন, বাবাকে স্মরণ করতেই নিজের হাতে ‘ড্যাডিজ় লিটল্ গার্ল’ লেখাটি ট্যাটু করিয়েছিলেন প্রিয়ঙ্কা। সম্প্রতি, মামি চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নিতে ভারতে এসেছিলেন প্রিয়ঙ্কা। এই মুহূর্তে হলিউডের একাধিক ছবির কাজে ব্যস্ত তিনি। অন্য দিকে, বলিউডে ফারহান আখতার পরিচালিত ‘জি লে জ়ারা’ ছবিতে অভিনয় করবেন অভিনেত্রী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy