প্রত্যুষা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত।
হিন্দি টেলিভিশনের পরিচিত মুখ বাঙালি অভিনেত্রী প্রত্যুষা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে নড়েচড়ে বসে গোটা দেশ। অভিনেত্রী মৃত্যুতে মূল অভিযুক্ত ছিলেন তাঁর একত্রবাসের সঙ্গী প্রেমিক রাহুল সিংহ। দীর্ঘ দিন ধরে চলতে থাকা এই মামলায় মুক্তি আবেদন করেন রাহুল। তবে সেই আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত। পাল্টা বলেন, প্রেমিকের দ্বারা শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন অভিনেত্রী। সেই কারণেই আত্মহত্যার পথ বেছে নেন বছর ২৪-এর প্রত্যুষা।
২০১৬-এর এপ্রিল মাসে মুম্বইতে নিজের ফ্ল্যাটে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় ‘বালিকা বধূ’ খ্যাত অভিনেত্রী প্রত্যুষা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। অল্প ক’দিনের মধ্যেই আনন্দীর চরিত্রে অভিনয় করে ঘরে ঘরে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি। তবে নিজের প্রথম সিরিয়ালের পর ‘বিগ বস্’-এ অংশ নেন প্রত্যুষা। এ ছাড়াও বেশ কিছু রিয়্যালিটি শোয়ে অংশ নেনে তিনি। সবে মুম্বইতে পায়ের মাটি শক্ত করছিলেন। তার মধ্যে এমন এক চরম সিদ্ধান্ত নেন প্রত্যুষা। মেয়ের মৃত্যুর পর প্রেমিক রাহুল সিংহের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৬ ধারা (আত্মহত্যায় প্ররোচনা), ৫০৪ (ইচ্ছাকৃত অপমান), ৫০৬ (অপরাধমূলক ভয় দেখানো), ৩২৩ (স্বেচ্ছায় আঘাত করা) -সহ একাধিক মামলা করেন অভিনেত্রীর মা।
বুধবার মুম্বই আদালত স্পষ্ট জানায়, প্রেমিক রাহুল সিংহ দিনের পর দিন প্রত্যুষাকে শারীরিক, মানসিক ভাবে হেনস্থা করতেন এবং রাহুলের জন্য আর্থিক হয়রানিরও শিকার হয়েছিলেন অভিনেত্রী, যা মানসিক অবসাদের দিকে ঠেলে দেয় তাঁকে। শেষমেশ আত্মহনের পথ বেছে নেন তিনি। বিচারক সমীর আনসারি গত ১৪ আগস্ট রাহুল সিংয়ের মুক্তির আবেদন প্রত্যাখ্যান করেন। এবং তা প্রত্যাখ্যানের কারণ হিসাবে এই পর্যবেক্ষণ জানিয়েছে আদালত।
প্রত্যুষার প্রেমিকের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তোলেন তাঁর দুই বন্ধু কাম্যা পঞ্জাবি ও বিকাশ গুপ্তা। মৃত্যুর আগে শেষ বার নাকি রাহুলকেই ফোন করেন প্রত্যুষা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy