রাজ বব্বর, স্মিতা পাতিলের পুত্র। অভিনয় তাঁর রক্তে। ২০০৭ সালে প্রথম ছবি ‘জানে তু ইয়া জানে না’য় নায়িকার ভাইয়ের ছোট্ট চরিত্রেই নজর কেড়েছিলেন। তার পরেই আরও অনেকের মতো ছবির প্রস্তাব নিয়ে তাঁর বাড়িতে আসেন স্বয়ং ভন্সালীও। ‘সাঁওয়ারিয়া’-য় নায়কের চরিত্র।
পার্শ্বচরিত্রেও নজর কাড়েন প্রতীক
রণবীর কপূরকে টেক্কা দিতে পারতেন। ঋষি-তনয়ের বদলে নায়ক হিসেবে তাঁরই বলিউড যাত্রা শুরু হতে পারত সঞ্জয় লীলা ভন্সালীর ছবিতে। হয়নি। কারণ তিনি যে তখন রিহ্যাবে! মাদকের নেশার জালে আটকা পড়া আঠেরোর সদ্য তরুণ। অন্য কেউ নন, এ গল্প ফাঁস করলেন প্রতীক বব্বর নিজেই।
রাজ বব্বর, স্মিতা পাতিলের পুত্র। অভিনয় তাঁর রক্তে। ২০০৭ সালে প্রথম ছবি ‘জানে তু ইয়া জানে না’য় নায়িকার ভাইয়ের চরিত্রেই নজর কেড়েছিলেন। তার পরেই আরও অনেকের মতো ছবির প্রস্তাব নিয়ে তাঁর বাড়িতে আসেন স্বয়ং ভন্সালীও। ‘সাঁওয়ারিয়া’-য় নায়কের চরিত্র।
কিন্তু সে সুযোগ আর হল কই! আঠেরোর প্রতীক তখন মাদক নেশামুক্তি কেন্দ্রে। ফলে ছবি চলে যায় ঋষি-পুত্রের কাছে। নায়ক-নায়িকা হিসেবে ওই ছবিতেই বলিউডে পা রাখেন রণবীর ও সোনম কপূর। ভন্সালী যে তাঁর কাছে আগে এসেছিলেন, সে কথা প্রতীক জানতে পারেন কয়েক বছর পরে। দাদু-ঠাকুরমার কাছ থেকে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অকপটেই এ গল্প শুনিয়েছেন প্রতীক নিজে।
ওই সাক্ষাৎকারে প্রতীক এ-ও বলেছেন, ভন্সালীর ছবিতে কাজের সুযোগ হারিয়ে তেমন হতাশও হননি তিনি। বলিউডের তারকা দম্পতির ছেলে। অভিনেতা নয়, আঠেরোর তেজে তখন রকস্টার হতে চাইতেন তিনি। রাজ-স্মিতার ছেলের কথায়, “তখন বয়স কম। বড় চুল রেখে, মুখে-চোখে মেকআপ করে, স্টেজে গলা ফাটাতে চাইতাম। তার আগে ভাবতাম ক্রিকেটার হব। আমার অভিনয়ে আসা কিন্তু আচমকাই। পরে ক্রমশ বুঝলাম, এটাই আমি করতে চাই।”
গত কয়েক বছরে বিভিন্ন ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ পার্শ্ব চরিত্রে কাজ করেছেন প্রতীক। ‘দম মারো দম’, ‘আকর্ষণ’, ‘ধোবি ঘাট’, ‘বাঘি ২’ বা ‘ছিছোঁড়ে’র মতো ছবিতে মা-বাবার মতোই নিজের জাত চিনিয়েছেন অভিনেতা। দর্শক ও সমালোচকদের প্রশংসা আদায়ের পাশাপাশি প্রতীকের ঝুলিতে এসেছে পুরস্কারও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy