পর্দায় তাপসী-বিদ্যাদের বিশ্বস্ত সঙ্গী পরমব্রত।
নারীর যোগ্য সহচর হয়ে ওঠা শুরু ১০ বছর আগে। সুজয় ঘোষের ‘কহানি’ ছবি দিয়ে। পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় সেই ছবিতে বিদ্যা বালনের সারথি ‘সাত্যকি’। তার পর থেকে ‘পরি’, ‘বুলবুল’, ‘আরণ্যক’, ‘মিথ্যা’— একের পর এক ছবি, সিরিজে নারীর কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলেছেন। এবং তিনি সেই ভূমিকায় সফলও। নারী দিবসের এক দিন পরে সে কথা গর্বের সঙ্গে জানিয়েছেন অভিনেতা। একই সঙ্গে পিছন ফিরে দেখেছেন তাঁর প্রথম বলিউড ছবি ‘কহানি’-র যাত্রাপথকে।
পরমব্রত এই মুহূর্তে মুম্বইয়ে। দু’দিন আগেই ছিলেন লক্ষ্মৌ। সুধীর মিশ্রের পরিচালনায় কাজ করছেন। তাঁকে বেছেছেন কাস্টিং ডিরেক্টর মুকেশ ছাবড়া। জানিয়েছেন, তাঁর সহ-অভিনেতা তাপসী পান্নু। ১০ বছরের ধারা ধরে রেখে পরমব্রত কি এ বার তাপসীর যোগ্য সহচর? জানা সম্ভব হয়নি। কারণ, অভিনেতা ফোনে অধরা। তবে পর্দায় বারবার শক্তিশালী নারীর ‘সারথি’ হয়ে উঠতে তাঁর বিন্দুমাত্র অস্বস্তি নেই। দ্বিধাও নেই। সে কথা অকপটে জানিয়েছেন পরমব্রত। তাঁর দাবি, এত দিন পুরুষশাসিত সমাজের প্রতিফলন ছিল বড় পর্দাতেও। তাই হিন্দি ছবিও ছিল পুরুষপ্রধান। যুগের দাবি মেনে তাতেও পরিবর্তন। সম্ভবত ‘কহানি’ পথপ্রদর্শক। এই ছবি নিজের জোরে বলিউড ছবির মোড় ঘুরিয়েছে। নারীর প্রাধান্য প্রতিষ্ঠিত করেছে। এই ছবির হাত ধরেই পুরুষ সম্ভবত নারীর প্রথম ছায়াসঙ্গী।
পরমব্রত এই ধরনের চরিত্রে এতটাই আন্তরিক ভাবে মিশে যেতে পেরেছেন যে চরিত্রগুলো বলিউডে তাঁকে আলাদা পরিচয় দিয়েছে। এর জন্য তিনি আন্তরিক কৃতজ্ঞ প্রত্যেক পরিচালক, কাস্টিং ডিরেক্টরের কাছে। কিন্তু এতে তাঁর গায়ে ‘নারীর সহচর’-এর তকমা লেগে যায়নি? প্রযোজক-পরিচালক-অভিনেতার মতে, তিনি বিষয়টি নিয়ে কোনও দিন ভাবার দরকারই মনে করেননি। বরং, গর্বিত এই সুযোগে মনে রাখার মতো কিছু চরিত্র, ভাল পরিচালকদের সঙ্গে কাজের সুযোগ পেয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy