বৃহস্পতিবার সকালে দুঃসংবাদ পাওয়ার পরই অমিতাভ শুটিং ছেড়ে হাজির হয়েছিলেন চলচ্চিত্র নির্মাতা আদিত্য চোপড়ার বাড়িতে। —ফাইল চিত্র
আগের প্রজন্মের কৃতী মানুষরা একে একে না ফেরার দেশে পাড়ি দিচ্ছেন। এ বড় কঠিন সময়, মনে হচ্ছে অমিতাভ বচ্চনের। বলিউড প্রযোজক যশ চোপড়ার স্ত্রী পামেলা চোপড়া প্রয়াত হতেই এক শূন্যতা গ্রাস করেছে বর্ষীয়ান অভিনেতাকে। বৃহস্পতিবার সকালে দুঃসংবাদ পাওয়ার পরই অমিতাভ শুটিং ছেড়ে হাজির হয়েছিলেন চলচ্চিত্র নির্মাতা আদিত্য চোপড়ার বাড়িতে। একই দিনে ব্লগে ভাগ করে নিয়েছিলেন সেই অভিজ্ঞতা। শুটিং চলাকালীন পামেলার আকস্মিক মৃত্যুসংবাদে অমিতাভের মনে হয়েছিল, জীবন যেন থমকে গিয়েছে।
সম্প্রতি ‘প্রজেক্ট কে’-র শুটিংয়ের সময় পাঁজরে চোট পেয়েছিলেন অমিতাভ। প্রায় মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছেন তিনিও। সেরে উঠে আবার কাজ শুরু করেছেন। শুটের প্রথম দিনটির বর্ণনা দিয়ে অমিতাভ তাঁর সর্বশেষ ব্লগ শুরু করেন। লেখেন, “প্রথম দিনগুলি কখনও প্রত্যাশার দিন এবং অজানা উপাদানের দিন... এবং আজকের প্রথম দিনটি আলাদা ছিল না। মানুষ, ক্রু, কাজকর্ম। সমস্ত অজানা এবং আশ্চর্যের মধ্যে প্রত্যাশা জেগে ছিল।”
পামেলা চোপড়ার মৃত্যু নিয়ে লিখতে গিয়ে অভিনেতা তার পর যোগ করেছেন, “চরিত্র হয়ে ওঠার চেষ্টার মাঝে যশ চোপড়ার স্ত্রী পামেলা চোপড়ার চলে যাওয়ার আকস্মিক খবর আসে এবং জীবন স্থবির হয়ে পড়ে! তাই তাঁর সঙ্গে সিনেমা বানানো, সঙ্গীত নির্মাণ, আউটডোর এবং পারিবারিক গেট টুগেদারের সঙ্গে কাটানো অনেক স্মৃতি, সব যেন এক লহমায় চলে যায়।”
এর পরই অমিতাভ লেখেন, “তারা সবাই একে একে সবাই আমাদের ছেড়ে চলে যায়। সব আনন্দ সঙ্গে নিয়ে চলে যায়।”
অমিতাভকে তাঁর পুত্র অভিষেক বচ্চন এবং পুত্রবধূ ঐশ্বর্যা রাইয়ের সঙ্গে আদিত্য চোপড়া ও রানি মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে আসতে দেখা গিয়েছে। পামেলার শেষকৃত্যের পর আদিত্যের স্ত্রী রানি দরজায় দাঁড়িয়ে বচ্চনদের বিদায় জানান। যশ চোপড়া ফিল্মসের প্রযোজনায় একাধিক ছবিতে কাজ করেছিলেন অমিতাভ। তার মধ্যে ‘কভি কভি’ বিশেষ জনপ্রিয়, যে ছবির চিত্রনাট্য লিখেছিলেন পামেলাই।
গত ২০ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার মুম্বইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন পামেলা। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে গত ১৫ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে হার মেনেছেন রানির শাশুড়ি। বেলা ১১টা নাগাদ শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে ৭৪ বছরের পামেলার।
‘যশরাজ ফিল্মস’ প্রযোজনা সংস্থার অনেক ছবির নেপথ্যেই ছিলেন পামেলা। চিত্রনাট্য লেখা থেকে শুরু করে পোশাক পরিকল্পনা, এমনকি, সহ-প্রযোজনার কাজও করেছেন। এ বছরই নেটফ্লিক্সের তথ্যচিত্র ‘দ্য রোম্যান্টিকস’-এ দেখা গিয়েছে পামেলাকে। যেখানে তিনি যশের কৃতিত্ব, সংগ্রাম এবং আরও অনেক কিছু নিয়ে কথা বলেছেন।
পামেলার জীবন ছিল কর্মময়। যশ চোপড়ার কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পুরোদমে কাজ করে গিয়েছেন পামেলা। ‘কভি কভি’ (১৯৭৬) থেকে ‘লমহে’ (১৯৯১) পর্যন্ত বহু ছবিতে একত্র অবদান রয়েছে স্বামী-স্ত্রীর, যা হয়তো অনেকেই জানেন না। এ ছাড়াও, প্লেব্যাক গায়িকা ছিলেন তিনি। যশ প্রযোজিত বহু ছবিতে গান গেয়ে দর্শকের মন ছুঁয়ে গিয়েছিলেন পামেলা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy