পীতবাস ত্রিপাঠি।
ছোটবেলা থেকে স্বপ্ন অভিনয় করার। তবে মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে বাড়িতে সে কথা বলবেন কী ভাবে! তাই অন্য রাস্তা নিলেন ভুবনেশ্বরের ছেলে পীতবাস ত্রিপাঠি। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের এন্ট্রান্স দিয়ে পড়তে এসেছিলেন কলকাতায়। ‘‘সংস্কৃতির এমন ক্ষেত্র আর কোথায় পাব!’’ পরিষ্কার বাংলায় বলছিলেন পীতবাস।
পড়ার পাশাপাশি থিয়েটারে অভিনয়। চাকরিও পেয়ে গেলেন ক্যাম্পাস ইন্টারভিউয়ে। তখন বাড়িতে তুললেন অভিনয়ের কথা। ‘‘বাড়িতে বুঝল, অভিনয়ে কিছু না করতে পারলে, ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে কোনও চাকরি পেয়ে যাব। পড়াশোনায় ভাল হলে, বাবা-মার কাছে সব কিছু মাফ,’’ মজা করে বলছিলেন তিনি।
চার বছরে কলকাতার থিয়েটার তাঁর ভিত করে দিয়েছিল। আর মুম্বইয়ের জন্য তৈরি করে দিয়েছে পুণের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট। এখন তাঁর ফিল্মোগ্রাফিতে ‘আই অ্যাম কালাম’, ‘শোর ইন দ্য সিটি’, ‘সাংহাই’, ‘মম’ কিংবা হলিউডের ছবি ‘মিলিয়ন ডলার আর্ম’ ঢুকে গেলেও শুরু মোটেই মসৃণ ছিল না।
শত কষ্টের মধ্যেও ধারাবাহিকে কখনও অভিনয় করেননি। ‘‘আমার চাহিদা কম। দু’মুঠো খাওয়া আর মাথার উপর ছাদ থাকলে আমার হয়ে যায়। সস্তায় টাকা রোজগার আমার ধাতে পোষাত না। আর আমি তো হঠাৎ করে মুম্বই চলে আসিনি। জানতাম, স্ট্রাগল করতেই হবে,’’ স্পষ্ট পীতবাস।
নিজেই বলছিলেন, পনেরো রাউন্ড অডিশন দিয়ে সুযোগ পাওয়া হলিউডি ছবি ‘মিলিয়ন ডলার আর্ম’ তাঁর জীবন বদলে দিয়েছে। এজেন্ট রাখতে পেরেছেন হলিউডে। ফলে হাতে এসেছে ‘মেট্রোপার্ক’ সিরিজের অন্যতম প্রধান চরিত্র। ফরাসি-বেলজিয়াম এক ছবির প্রধান চরিত্রও তিনি। তবে এখানেই থামতে চান না পীতবাস। ‘‘অনেক ঘষে ঘষে এখানে পৌঁছেছি।
এখনই ফুরিয়ে যেতে চাই না,’’ বলেন তিনি।
তবে তাঁর চেহারা যে বলিউডের হিরোসুলভ নয়। সেটা নিয়ে হীনমন্যতা ছিল না? ‘‘আমি তো শাহরুখ হতে মুম্বই আসিনি। অভিনেতাই হতে চেয়েছিলাম। তাই আমার কোনও দুঃখ নেই,’’ বলেন পীতবাস ত্রিপাঠি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy