এক সময় সইফ আলি খানের স্ত্রী করিনা কপূর খানের সঙ্গে শাহিদ কপূরের সম্পর্ক নিয়ে চর্চা ছিল তুঙ্গে। ছবি: সংগৃহীত।
দিন তিনেক আগে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন সইফ আলি খান। বাড়িতে ঢুকে পড়া দুষ্কৃতীর হাতে ছুরিকাহত হয়ে মুম্বইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে পাঁচ দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। এই ঘটনায় বিস্তর জলঘোলা হয়েছে। ঘটনার তিন দিন পর এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে মুম্বই পুলিশের অপরাধ দমন শাখা দাবি করে, তিনি আদতে বাংলাদেশের নাগরিক। শুধু মাত্র চুরির উদ্দেশ্য নিয়েই সইফের বান্দ্রার ফ্ল্যাটে ঢুকেছিলেন, বাধা পেয়ে আক্রমণ করেন অভিনেতাকে। কিন্তু মুম্বইয়ের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিয়ে উঠতে শুরু করে প্রশ্ন, শুরু হয় রাজনীতির চাপানউতর। এরই মধ্যে শিবসেনা ও বিজেপির তরফে কোনও কোনও নেতা প্রশ্ন তোলেন, যে ভাবে সইফ হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন, তা দেখ সন্দেহ হয়, আদৌ তাঁর উপর কোনও আক্রমণ হয়েছিল কি না!
এ বার, সইফ-কাণ্ডে মুখ খুললেন বলিউডের আর এক অভিনেতা শাহিদ কপূর। এর আগে সইফ আক্রান্ত হওয়ার পরের দিনই শাহিদ জানিয়েছিলেন, তিনি সইফের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছেন। এ বার সইফের উপর আক্রমণ প্রসঙ্গে বলেন, “এ ধরনের ঘটনা যে কোনও মানুষের সঙ্গে ঘটতে পারে। তবে মুম্বই একেবারেই নিরাপদ শহর এবং সব সময় এই নিরাপত্তার কারণেই মুম্বই পরিচিত। ঘটনাটা সত্যিই খুব অবাক করার মতো, আমরা সকলেই চমকে গিয়েছি। তবে অনেক শহরেই এমন ঘটনা আকছার ঘটে। এটা বড় কোনও বিষয় নয়। যে কোনও মানুষের সঙ্গে এটা ঘটতে পারত। আমি এটা বলতে পারব না যে, খ্যাতনামীরাই সহজ শিকার।”
সইফ ও শাহিদের সম্পর্ক নিয়ে এমনিতেই বলিউডে যথেষ্ট চর্চা। যদিও তাঁদের মধ্যে কখনও মতবিরোধ দেখা যায়নি, এমনকি ‘রঙ্গুন’-এর মতো ছবিতে একসঙ্গে কাজও করেছেন দুই তারকা। তবু, এই দুই অভিনেতার মাঝখানে রয়ে গিয়েছেন করিনা কপূর খান। এর আগে হনসল মেহতার ‘দ্য বাকিংহাম মার্ডারস’ ছবির প্রচার অনুষ্ঠানে শাহিদের নাম শুনে করিনা এমন অভিব্যক্তি প্রকাশ করে ফেলেছিলেন, যা ভাইরাল হয়ে যায়। যদিও সে দিন হনসলকে তাঁর আগের ছবি ‘শহিদ’ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। সইফ আক্রান্ত হওয়ার পর ‘দেবা’-র প্রচার মঞ্চে শাহিদকে এ প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হয়। তবে কোনও সাংবাদিক এ প্রশ্ন করেছিলেন সরাসরি নাম না করে। উত্তরে শাহিদ স্পষ্ট জানিয়ে দেন, প্রশ্নটি সরাসরি করলেই ভাল লাগত তাঁর। পরে সইফের দ্রুত আরোগ্য কামনা করার কথা জানান শাহিদ।
এ বার শাহিদ বলেন, “বহু মানুষ এ রকম পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছেন। যদি কোনও সাধারণ মানুষের সঙ্গে এমন একটা ঘটনা ঘটত, আমরা একই ভাবে উদ্বিগ্ন হতাম। তবে সইফ খ্যাতনামী বলেই একটু বেশি আলোচনা হচ্ছে। অবশ্যই বিষয়টা নিয়ে আলোচনা হওয়া প্রয়োজন। আবাসনগুলির নিরাপত্তা জোরদার করা দরকার। আমি নিশ্চিত, সকলেই উদ্বিগ্ন। তবে আমরা খুশি যে সইফ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে এসেছেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy