সমাপ্তি অনুষ্ঠানে ‘লাইট দ্য স্কাই’ গেয়ে অনেক প্রশংসা পেয়েছেন নোরা। ছবি:ইনস্টাগ্রাম
কিছু মুহূর্ত বিশেষ। যার জন্য প্রায় সারা জীবনের অপেক্ষা সার্থক হয়। নোরা ফতেহির জীবনেও তেমনই উজ্জ্বল হয়ে এসেছিল ২০২২ সালের ফুটবল বিশ্বকাপের আমন্ত্রণ। খেলা শেষ। তবু মন ভরে গিয়েছে প্রাপ্তিতে। নোরা জানালেন, সেই দিনটির জন্য সারা জীবন ধরে প্রস্তুতি নিয়েছেন।
সমাপ্তি অনুষ্ঠানে ‘লাইট দ্য স্কাই’ গেয়ে অনেক প্রশংসা পেয়েছেন নোরা। বিশ্বকাপের মঞ্চে প্রথম বলিউড তারকা হিসাবে ইতিহাস গড়েছেন। নিজেই ভাগ করে নিয়েছিলেন তাঁর পারফরম্যান্সের এক ঝলক-ভিডিয়ো। সঙ্গে লিখেছেন, “আমার কেরিয়ারের সেই মহাকাব্যিক মুহূর্ত। গোটা বিশ্ব দেখছে! ভাবা যায়? আমার সারা জীবনের প্রস্তুতি রয়েছে এখানে আসার জন্য। হাইস্কুল থেকে এই অডিটোরিয়ামের মঞ্চ। বিশ্বকাপ স্টেডিয়ামের মঞ্চ! অবিশ্বাস্য!”
যাঁরা আমায় শুভেচ্ছাবার্তায় ভরিয়ে দিয়েছেন, অনুষ্ঠান দেখে ফোন করেছেন, তাঁদের সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
১৮ ডিসেম্বর বিদ্যুৎশিখার মতো ঝিলিক দিয়ে লুসেইল স্টেডিয়ামের মঞ্চে এসেছিলেন নোরা। সঙ্গী ছিলেন বাল্কিস, রহমা রিয়াদ এবং মানাল। তাঁরা সবাই মিলে বিশ্বকাপ থিম ‘লাইট দ্য স্কাই’ গেয়ে ওঠেন ইংরেজি এবং হিন্দি ভাষায়। নাচ পরিবেশন করেন অন্যান্য সদস্য। সেই অনুষ্ঠান মন ছুঁয়ে গিয়েছে কোটি কোটি দর্শকের।
এর আগেও বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার আগে, ফিফা অনুরাগী উৎসবে নেচেছিলেন নোরা। ১ ডিসেম্বর দোহার মঞ্চে বলিউডের গান ‘সাকি সাকি’ গেয়ে জাতীয় পতাকা উড়িয়েছিলেন অভিনেত্রী। শেষে ‘জয় হিন্দ’ ধ্বনি শোনা গিয়েছিল তাঁর কণ্ঠে।
প্রসঙ্গত, জন্ম কানাডায় হলেও ভারতের নাগরিকত্ব রয়েছে নোরার। সব সময় জানান, ‘‘হৃদয়ে আমি ভারতীয়।’’ বলিউডে কেরিয়ার শুরু করার পর দেশও তাঁকে সেই কবেই আপন করে নিয়েছে।
বিশ্বকাপ ময়দানে তখন ফাইনালের উত্তেজনা। ঠিক তার আগের রাতে নোরা ফতেহি গিয়েছিলেন ফিফার প্রেসিডেন্ট জিয়ানি ইনফ্যান্তিনোর কাছে। হাতে লাল টুকটুকে বাক্স, সবুজ ফিতে দিয়ে মোড়া। তাতে ছিল বিশেষ ভাবে নির্মিত এক জোড়া স্পোর্টস শু। স্মারক হিসাবে নোরা সেই বাক্স উপহার দিয়েছিলেন জিয়ানিকে। কৃতজ্ঞতা জানিয়েছিলেন তাঁকে আহ্বান করার জন্য। আর চেয়েছিলেন স্মৃতিতে থাকতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy