ধারাবাহিকের সেটে: নীল এবং তিয়াসা।
দেখতে হুবহু এক। আচারে-ব্যবহারেও সাদৃশ্য অনেকটাই। একটাই বড় পার্থক্য, শ্যামা ঘোর কৃষ্ণা। তাই তাঁর নামে জি বাংলার সুপারহিট মেগা ‘কৃষ্ণকলি’। আম্রপালীর গায়ের রং জ্যোৎস্নার মতো ধবধবে।
কিন্তু...
এরকম একাধিক 'কিন্তু' ঘুরছে দর্শক মনে। লকডাউনের আগে থেকেই। শ্যামার রহস্যমৃত্যু তার স্বামী নিখিল চৌধুরীর জীবনে ‘ভবিতব্য’ হিসেবে জায়গা করে দিয়েছে আম্রপালীকে। তার বড় কারণ, আম্রপালী আর কৃষ্ণকলি যেন একই মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ।
কিন্তু নিখিল যেমন শ্যামা অন্ত প্রাণ ছিল, সে কী করে আম্রপালীকে মেনে নিল সহজে? মেগার গল্প বলছে, চেহারার সাদৃশ্যই এই মিলনের অনুঘটক। যার জোরে এই সম্পর্ক বিয়ের পিঁড়ি পর্যন্ত এগোবে, আভাস ছিল ৮৪ দিন আগেই। নিখিলেরও জোরালো বিশ্বাস, কোথাও যেন শ্যামা আর আম্রপালী এক। ঠিক যেভাবে সে বিশ্বাস করে, শ্যামা কোনও ষড়যন্ত্রের শিকার।
এই জায়গা থেকেই উঠে আসে আরেকটি প্রশ্ন, দু’জনে এক হলে শ্যামা কি তবে মারা যায়নি? নিজেকে বাঁচাতে আম্রপালী হয়ে ফিরে এসেছে নিখিলের জীবনে?
এই প্রশ্ন দর্শকদের সঙ্গে নিখিলেরও। তাই শ্যামাকে সে খুব যত্ন নিয়ে ফুটিয়ে তুলেছে আম্রপালীর চোখে। এবং নিখিলের কাছ থেকে সব শোনার পরে সেও আগ্রহী শ্যামার প্রকৃত অবস্থান জানার জন্য। এই মানসিকতা থেকেই দেশ ছাড়ার মানসিকতা নিয়ে দেখা করতে এসেও আম্রপালি বিয়ে করে নেয় নিখিলকে। তার সব প্রশ্নের উত্তর খোঁজায় সাহায্য করতে।
বিয়ের কথা মাথায় এসেছিল নিখিলেরও। কারণ, ‘কৃষ্ণকলি’ আর ‘আম্রপালী’ কি এক? এই প্রশ্ন তার মতোই মাথায় খেলেছে শত্রুদেরও। তাদের বিশ্বাস দু’জনেই এক। তাই তারা হামলার চেষ্টাও করেছে আম্রপালির ওপর। যদিও নিখিল তাকে বাঁচিয়েছে। কিন্তু দূরে থাকলে কত বার সে বাঁচাতে পারবে আম্রপালিকে? তাই বিয়েটা জরুরিই।
আরও একটি প্ল্যান ভেঁজেছে নিখিল। কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলার মতোই আম্রপালীকে ঘরে এনে সে গতিবিধি লক্ষ্য করতে চায় শত্রুদের। তাহলেও শ্যামা-রহস্য ভেদ হবে অনেকটাই।
শ্যামা-আম্রপালী এক কিনা তাই নিয়ে দ্বিধা রয়েছে নিখিলের মা সুজাতা চৌধুরীর মনেও। যদিও মায়ের চোখ মিলের পাশাপাশি অমিলও খুঁজে পেয়েছে। গ্রামের মেয়ে শ্যামা ছিল ভীষণ শান্ত, নরম মনের, বিনয়ী। যেটা আম্রপালি একেবারেই নয়। পোশাকেও মিল নেই শ্যামা আর তার ‘ছায়া’-র। কিন্তু আম্রপালি যে হুবহু গায় শ্যামার গান! সেটা কী করে সম্ভব?
আরও পড়ুন- ‘প্রায়ই ভাবতাম, ১৪ তলা থেকে ঝাঁপ দিলে কেমন হয়’
এই রহস্য ভেদের আগে আসতে চলেছে আরও তিনটি সমস্যা। এক, আম্রপালীর বিয়ে মেনে নিতে পারেনি তার মা-বাবা। তারা কি ত্যজ্যকন্যা করবেন তাঁদের মেয়েকে? দুই, অশোক চৌধুরী চাইছে লকডাউনে লোকসানের মুখ দেখা কোম্পানি বেচে দিতে। যা কোনও মতেই হতে দিতে চায় না নিখিল। তিন, দিয়া আম্রপালীর মনে শ্যামার বিরুদ্ধে ঘৃণা তৈরির আপ্রাণ চেষ্টা করছে। শুরু থেকেই চ্যানেলের টিআরপি বাড়িয়েছে ‘কৃষ্ণকলি’-র টানটান চিত্রনাট্য, ভাল অভিনয় আর একের পর এক টুইস্ট।
প্রোমো বলছে, ৮৪ দিনের ফাঁক ভরাবে নিখিল-শ্যামা থুড়ি আম্রপালি জোট। আর মেগা ঘিরে দর্শকদের লাখ টাকার প্রশ্ন— ‘কৃষ্ণকলি’ আর ‘আম্রপালি’ কি এক? এই রহস্য কি আরও ঘনীভূত হবে নতুন পর্বে?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy