অনেক যুগ আগের কথা। রাখি তখনও মজুমদার। সদ্য অভিনয়ে এসেছেন। নিতান্তই কিশোরী। সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় খ্যাতির মধ্যগগনে। বাংলা ছায়াছবিতে চুটিয়ে অভিনয় করছেন। “সেই সময় একটি ছবিতে রাখি আমার মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছিল”, স্মৃতির জরা সরিয়ে শুক্রবার সেই ঘটনা জানালেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী। সৌজন্যে নন্দিতা রায়-শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের আগামী ছবি ‘আমার বস’। ওই ছবিতে তিনি আর রাখি গুলজ়ার আবার এক ফ্রেমে।
পুরনো সহ-অভিনেত্রীর সঙ্গে কাজ। অনেক বছর পরে দেখা। নিশ্চয়ই আড্ডা বেশি, কাজ কম হল?
ফোনে জানতে চেয়েছিল আনন্দবাজার ডট কম। প্রশ্ন শুনে হেসে ফেলেছেন সাবিত্রী। চেনা ভঙ্গিতে বলে উঠেছেন, “এখন আড্ডা দেওয়ার সময় পাওয়া যায় নাকি? সকলেই ছুটছে। ফলে, আড্ডা দিতে পারিনি। তবে শুটিংয়ের ফাঁকে অল্পবিস্তর কথা হয়েছে।” দেখা হতেই রাখি সাবিত্রীকে বলেছেন, “তোমার সঙ্গে অভিনয় করতে হবে! এঁটে উঠতে পারব তো?” চুপ থাকেননি সাবিত্রীও। হাসতে হাসতে জবাব দিয়েছেন, “আমিই বা কী এমন যে, এঁটে ওঠার প্রশ্ন উঠছে! একটু আধটু অভিনয় পারি, এই পর্যন্ত।” ফোনে এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে রসিকতাও করেছেন, “দীর্ঘ দিন বলিউডে। হিন্দি ছবির হিট নায়িকা। এত যুগ পরে দেখা। আমায় যে চিনতে পেরেছে, এ-ই যথেষ্ট।”
আরও পড়ুন:
পুরনো দিনের দুই অভিনেত্রী মানেই আলোচনায় উত্তমকুমার, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়?
“না না, একেবারেই নয়। কোনও পুরনো গল্পও নয়। বড় জোর দিন দুয়েকের শুটিং করেছি আমরা। এত কথা কখন হবে? তবে এখনও আগের মতোই আন্তরিক রাখি। এটা দেখে ভাল লেগেছে।” ইদানীং বড় পর্দায় বর্ষীয়ান অভিনেতা-অভিনেত্রীদের রমরমা। সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়, রাখি গুলজ়ার, মিঠুন চক্রবর্তী, মৌসুমী চট্টোপাধ্যায় এবং শর্মিলা ঠাকুর, ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিচালকেরা কি বর্ষীয়ান অভিনেতাদের উপরেই ভরসা করছেন বেশি? “অতশত বুঝি না বাবা! অন্যদের কথা বলতে পারব না”, বললেন সাবিত্রী। তাঁর মতে, “আমি এখন অভিনয় কমিয়ে দিয়েছি। তার পরেও দর্শকেরা আমায় ভালবাসেন, এটা বুঝতে পারি। তার জন্য সকলের কাছে কৃতজ্ঞ। পরিচালকেরাও হয়তো এই কারণেই আমায় পছন্দ করেন।”