মিথিলা। অকপটে স্বীকারও করেছেন, মাতৃত্ব যেমন আনন্দের, গর্বের, সময় বিশেষে বুঝি বিড়ম্বনারও। মা হওয়ার অনেক জ্বালা। অসুস্থতার সময়েও মায়েদের বিশ্রাম নেওয়ায় যেন নিষেধ।
রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। ফাইল চিত্র।
শরীরটা বশে নেই তাঁর। জ্বরে কাবু রফিয়াত রশিদ মিথিলা। তবু চোখ বুজে দু’দণ্ড বিশ্রামের অবকাশও নেই! কারণ, এক মাত্র সন্তান আয়রা। একা বাড়িতে তিনি মেয়েকে নিয়ে আছেন। যদি ঘুমিয়ে পড়েন, কে খেতে দেবে মেয়েকে? কে-ই বা তার পড়াশোনা দেখাবে? মাতৃদিবসের আগের দিন নিজের জীবন দিয়ে অভিনেত্রী আবারও বুঝলেন, মা হওয়া নয় মুখের কথা!
নিজেই সে কথা জানিয়েছেন মিথিলা। অকপটে স্বীকারও করেছেন, মাতৃত্ব যেমন আনন্দের, গর্বের, সময় বিশেষে বুঝি বিড়ম্বনারও। মা হওয়ার অনেক জ্বালা। অসুস্থতার সময়েও মায়েদের বিশ্রাম নেওয়ায় যেন অলিখিত নিষেধ। কেউ হয়তো কিছুই বলবেন না। বলবে না তার সন্তানও। তবু অজানা অপরাধ তাকে দিয়ে হাজার অসুস্থতার মধ্যেও কাজ করিয়ে নেয়। পর্দার ‘বহ্নি’র দাবি, এই অপরাধবোধ সমাজের চাপিয়ে দেওয়া। মিথিলা বুঝেছেন, মাতৃত্ব দায়িত্ব নিতে শেখায়। মাতৃত্ব যন্ত্রণাও দেয়।
শনিবারের রাত পোহালেই মাতৃদিবস। রবিবার সকাল থেকেই মাতৃত্বের বন্দনায় মাতবে বিশ্ব। মিথিলা কুর্নিশ জানিয়েছেন সেই সব মায়েদের, যাঁরা প্রতি মুহূর্তে নিজেদের অস্তিত্ত্ব বুঝতে না দিয়ে সংসার টেনে চলেছেন নীরবে। সৃজিত-ঘরনির চোখে, প্রত্যেক মা ‘মাল্টিটাস্কার’ হতে বাধ্য! কারণ, তাঁদের কাছে যে অন্য কোনও উপায় নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy