বাউল, কীর্তন আর কবিগানে জমে উঠেছে জামুড়িয়ার ‘মিনি জয়দেব মেলা’।
স্থানীয় চাকদোলা সেতুর কাছে গত ১৯ মার্চ থেকে শুরু হওয়া এই মেলার পরিচিতি মূলত লোকগানের জন্য। যত রাত বাড়ে তত জমাটি হয় মেলার পরিবেশ। উদ্যোক্তাদের অন্যতম নরেশ বন্দ্যোপাধ্যায় ও মানিক বাউরিরা জানান, ১৮ বছর আগে স্থানীয় বাসিন্দা অধম নাথের উদ্যোগে এই মেলা শুরু হয়েছিল। তারপর অল্প সময়ের মধ্যেই আশপাশের এলাকায় এই মেলা জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ভিড় বাড়তে থাকে বাউলশিল্পী, কবিগানের শিল্পীদের। বাংলার অন্যতম সেরা লোকসংস্কৃতি মেলা বলে পরিচিত বীরভূমের জয়দেব-কেন্দুলির মেলার সঙ্গে মিল থাকায় লোকমুখে এই গ্রামীণ মেলার নাম হয়ে যায় ‘মিনি জয়দেব মেলা’। প্রতি বছরই বাড়ছে এই মেলার বিস্তৃতি। উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, শুধু চাকদোলা নয়, সংলগ্ন ডোবরানা, কেন্দা, বাহাদুরপুর, চিঁচুরিয়া এলাকার বাসিন্দারা এই মেলার সঙ্গে সক্রিয় ভাবে যুক্ত।
উদ্যোক্তারা জানালেন, এ বার মেলার প্রথম দিনে ছিল কীর্তনের আসর। অনুষ্ঠান করেন বীরভূমের আলপনা ঘোষ ও নকুলচন্দ্র ঘোষ। দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিন কবিগানের আসর মাতিয়ে দেন মুর্শিদাবাদের দুলালী চিত্রকর ও বর্ধমানের অম্বিকা ঘোষ। পরের দু’দিন বাউল গান পরিবেশন করেন বোলপুরের কল্পনা দাস ও অনাথ দাস এবং পাণ্ডবেশ্বর ডালুরবাধের রীতারানি দাস ও দীনেশ দাস। মূল মঞ্চের অনুষ্ঠান ছাড়াও মেলা চত্বরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসে গান গাইছেন লোকশিল্পীরা। তাঁদের ঘিরেও তৈরি হচ্ছে ভিড়।
খাতায় কলমে আজ, মঙ্গলবার হল এই মেলার শেষ দিন। তবে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মূল মেলা শেষ হলেও ভাঙা মেলা আরও কয়েক দিন থাকবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy