মিলিন্দ সোমন ও অঙ্কিতা কোনওয়ার।—ছবি :ইনস্টাগ্রাম
যৌনতাই সম্পর্কের শেষ কথা নয়। মনে করেন অভিনেতা মিলিন্দ সোমন। তাঁর থেকে ২৬ বছরের ছোট স্ত্রী অঙ্কিতা কোনওয়ারকে প্রতারণা প্রসঙ্গে তিনি জানান সম্পর্ক থেকে তখনই বেড়িয়ে আসার কথা মনে হয়, যখন মানসিক যোগাযোগটা হারিয়ে যায়।
৫৬ বছরের ‘যুবক’ মিলিন্দ ও তাঁর ৩০ বছরের স্ত্রীকে নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই অনুরাগীদের। দু’জনের বয়সের বিভেদই তাঁদের সম্পর্কের রসায়ন নিয়ে আগ্রহী করে তুলেছে ভক্তদের। ফলে প্রায়শই এই নিয়ে নানারকম প্রশ্নের জবাবদিহি করতে হয় মিলিন্দকে। অনেক সময় ব্যাক্তিগত নানা বিষয় নিয়েও প্রশ্ন করে ফেলেন নেটাগরিকরা। সম্প্রতি তেমনই একটা বেয়াড়া প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছিলেন মিলিন্দ। তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, কম বয়সী স্ত্রী কি প্রতারণার সম্ভাবনা কমায়? সোজা কথায় মিলিন্দ কি কখনও অঙ্কিতার সঙ্গে প্রতারণা করবেন?
মিলিন্দ এর সরাসরি জবাব না দিলেও গুছিয়ে বলেছেন নিজের মনের কথা। মিলিন্দের মতে, অন্য কারও সঙ্গে যৌনতাকে সম্পর্কের নাম দেওয়া যায় না।
‘আমার মনে হয় এটা পুরোপুরি নির্ভর করে তুমি কার সঙ্গে রয়েছ, তোমার কাছে কোনটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ, তার উপর', বলেছেন মিলিন্দ। কারণ তাঁর কাছে যৌনতা এতটাও গুরুত্বপূর্ণ নয়। বরং ঘনিষ্ঠতা অনেক বেশি জরুরি। সম্পর্কের উষ্ণতা জরুরি। পরষ্পরের সঙ্গে নিজেদের সুখ দুঃখ অনুভব কতটা ভাগ করে নিতে পারছেন, সেটা জরুরি। মিলিন্দের কথায়, ‘এগুলো যদি একটা সম্পর্কে না থাকে। তা হলে সেটা সম্পর্কই না। তুমি যৌনসঙ্গে দারুণ তৃপ্তি পেতে পার। তবে শুধু সেটুকুকেই সম্পর্কের নাম দেওয়া যায় না। আমার মনে হয়, মানুষ তখনই কোনও সম্পর্ক থেকে ছিটকে যায়, যখন তাঁরা প্রয়োজনীয় মানসিক আশ্রয় পায় না।’
আরও পড়ুন : প্রেমে পড়া বারণ! জাহ্নবী বললেন, তাঁর না বলা কথা বুঝে নিতে হবে
আরও পড়ুন : কলারটিউনে কোভিড সতর্কতা বার্তায় অমিতাভের জায়গা নিল মহিলা কণ্ঠ
অঙ্কিতার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়ে আলোচনায় অবশ্য বরাবরই খোলামেলা মিলিন্দ। দিন কয়েক আগেই একটি পণ্যের প্রচার ভিডিয়োতে স্ত্রী অঙ্কিতাকে নিয়ে কথা বলেছিলেন তিনি। বলেছিলেন, তাঁর মায়ের থেকে তিনি বয়সে যতটা ছোট, তাঁর স্ত্রী-র সঙ্গে তাঁর বয়সের বিভেদও ততটাই। তবে মিলিন্দের মতে, এই বয়স বিভেদ স্বাভাবিক কি না তা সমাজ আমাদের ঠিক করে দিয়েছে। ভালবাসার পথে এমন অনেক নিয়ম নীতি বরাবরই তৈরি করেছে সমাজ। কাদের একসঙ্গে থাকা উচিত, কাদের উচিত নয়...। জাতি, ধর্ম, দেশ, লিঙ্গ এমন অনেক মানদণ্ডের ভিত্তিতে তৈরি হয়েছে এই সব নিয়ম। তবে মিলিন্দের মতে, ভালবাসার পথে কোনও বাধা থাকা উচিত নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy