ছবির দৃশ্যে ব্রাত্য বসু।
চলতি পুজোয় বাংলা সিনেমার ভিড়ে ছোটদের যদি কোনও ছবির জন্য অপেক্ষা থেকে থাকে, তা হল ‘মনোজদের অদ্ভুত বাড়ি’। অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় পরিচালিত এই ছবি শুধু ছোটদের নয়, বড়দের। সেই বড়দের, যাঁরা শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের মূল লেখা পড়েছেন। আর এ বার বড়পর্দায় সেই নস্ট্যালজিয়াকে ছুঁয়ে দেখার অপেক্ষায় ছিলেন। পাশাপাশি নতুন প্রজন্মকে নিজেদের ছোটবেলার নস্ট্যালজিয়ার পাড়ায় ঘুরিয়ে আনাও উদ্দেশ্য ছিল।
সেই উদ্দেশ্য সফল। অন্তত প্রথম তিন দিনের বক্স অফিসের হিসেব সে ইঙ্গিতই দিচ্ছে।
সিনে বিশেষজ্ঞ পঙ্কজ লাডিয়া বললেন, ‘‘এটা একটা ছোট ছবি বলেছিলেন অনেকে। তেমন প্রচারও হয়নি। আমরা ভেবেছিলামপরে পারফর্ম করবে। সোমবার মানে পুজোর দিন থেকে ভাল ব্যবসা শুরু হবে। কিন্তু শুক্রবার থেকেই পারফর্ম করতে আরম্ভ করেছে ছবিটা। শনিবার ৭০ শতাংশ সিনেমা হলে সিট ভর্তি ছিল। রবিবার অলমোস্ট হাউজফুল। অর্থাত্ শুধু প্রচারই সব নয়। মানুষ যেটা দেখতে চান, প্রচার না থাকলেও সেটা দেখবেন।’’
আরও পড়ুন, দ্বিতীয়বার প্রসেনজিতের স্ত্রী হয়ে কেমন লাগল? অপরাজিতা বললেন...
পিভিআরের প্রোগ্রামিং এক্সজিকিউটিভ উজ্জ্বল বিশ্বাসও পঙ্কজের কথাকেই সমর্থন করলেন। ‘‘শুক্রবারের থেকে শনি, রবিবার ভাল করেছে মনোজদের অদ্ভুত বাড়ি। ওয়ার্ড অফ মাউথ খুব ভাল হয়েছে।’’
আরও পড়ুন, ‘সত্যকাম’-এর মধ্যে কতটা সত্য, আর কতটা কাম? অর্জুন বললেন...
এই ছবির প্রযোজক সংস্থা শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় এবং নন্দিতা রায়ের ‘উইন্ডোজ’। শিবপ্রসাদ শেয়ার করলেন, ‘‘এখন কনটেন্ট ইজ দ্য কিঙ্গ। মনোজদের অদ্ভুত বাড়ি সেটাই প্রমাণ করেছি। যেখানে যা মিথ আছে, আমরা সেটা সব সময় ভাঙার চেষ্টা করেছি। লোকে বলত গরমে ছবি চলে না। আমরা চালিয়েছি। তারকা ছাড়া নাকি ছবি হিট হয় না, আমাদের হয়েছে। তেমনই পুজোতে প্রচার ছাড়া ছবি ব্যবসা করে না মিথ ছিল। এই ছবি সেটা ব্রেক করেছে। ফলে ভবিষ্যতে অন্য প্রযোজকরাও পুজোতে ছবি রিলিজ করাতে ভয় পাবেন না। এটার জন্য ধন্যবাদ প্রাপ্ত অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় এবং বাংলার সিনে প্রেমী দর্শকদের।’’
(কোন সিনেমা বক্স অফিস মাত করল, কোন ছবি মুখ থুবড়ে পড়ল - বক্স অফিসের সব খবর জানতে পড়ুন আমাদের বিনোদন বিভাগ।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy