মাধুরী দীক্ষিতের সঙ্গে তুলনা অপছন্দ মনীষা কৈরালার। ছবি: সংগৃহীত
সাল ১৯৯১। সুভাষ ঘাই পরিচালিত ‘সওদাগর’ ছবির হাত ধরে বলিউডে আত্মপ্রকাশ মনীষা কৈরালার। কিন্তু সফরের শুরু থেকেই মাধুরী দীক্ষিতের সঙ্গে তাঁর তুলনা টানা হয়। যা মোটেও ভাল চোখে দেখতেন না মনীষা। কেরিয়ারের শুরুর দিকে তিনি কারও পরামর্শ নিতেন না। কোন ছবিতে কাজ করবেন, কোন ছবির সুযোগ ফিরিয়ে দেবেন— নিজেই সিদ্ধান্ত নিতেন অভিনেত্রী।
পরবর্তীকালে এক সাক্ষাৎকারে মনীষা বলেছিলেন, “সত্যি কথা বলতে সেই সময় আমার ভাল লাগত না এই তুলনা। কিন্তু এখন ভাল লাগে। মাধুরী অসাধারণ সুন্দরী, কমনীয় একজন অভিনেত্রী। সব থেকে বড় কথা খুব ভাল মানুষ উনি। ভীষণ ভালবাসি ওঁকে। এখন বুঝতে পারি ওঁর সঙ্গে আমার তুলনা সত্যিই আমার জন্য সম্মানজনক।”
২০০১ সালে রাজকুমার সন্তোষী পরিচালিত ‘লজ্জা’ ছবিতে একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে মাধুরীকে নিয়ে মনীষার দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টে যায়। এই প্রসঙ্গে অভিনেত্রীর বক্তব্য, “সেই সময় আমিও অনেকটা পরিণত হয়ে উঠেছিলাম। আমার চোখ খুলে গিয়েছিল। সেটে দেখতাম কী নম্র মানুষ মাধুরী। একেই সুন্দরী তার উপর মেধাবী।” তিনি আরও জানিয়েছেন, ‘বড়ি মুশকিল’ গানে মাধুরীর সঙ্গে তাল মিলিয়ে নাচের জন্য কঠোর অনুশীলন করেছিলেন তিনি।
শুধু তাই নয়, মনীষার ঝুলিতে বড় ছবির নেপথ্যেও মাধুরী। রাকেশ শ্রেষ্ঠার ফোটোশুটে মনীষাকে দেখেছিলেন মাধুরী। তার পর সুভাষ ঘাইয়ের কাছে তাঁর নাম সুপারিশ করেন মাধুরী। তিনি বলেছিলেন, “রাকেশের ফোটোশুটে একটি মেয়েকে দেখেছি। ‘সওদাগর’ ছবির জন্য ওকে দেখতে পারো।” এর পর পরিচালক সুভাষ মনীষাকে ডেকে পাঠান এবং রাকেশের ছবিগুলি দেখতে চেয়েছিলেন। পুরো ঘটনার কথা মনীষা নিজেই জানিয়েছিলেন। বলেছিলেন, “আমি পরে জানতে পেরেছিলাম, মাধুরীই আমার নাম সুপারিশ করেছিলেন পরিচালকের কাছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy