দাদু হওয়া সবথেকে চ্যালেঞ্জের কাজ বলে মনে করেন মহেশ
যে আসছে, সে হবে অসাধারণ কেউ! নাহলে এমন ভাবে আসে? বলাবলি করছেন আত্মীয়-পরিজনেরা। নতুন অতিথিকে শুভেচ্ছায় ভরিয়ে দিতে প্রস্তুত হচ্ছে কপূর ও ভট্ট পরিবার। ছেলে রণবীর বাবা হতে চলেছেন, তা দেখে যাওয়া হল না ঋষি কপূরের। আফসোস রয়েই গেল নীতুর। তবে আর এক দাদু তো রয়েছেন! আলিয়ার বাবা মহেশ ভট্টই স্বাগত জানাবেন পরিবারের কনিষ্ঠতম সদস্যকে।
কন্যা আলিয়া ভট্টের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবরে আপ্লুত মহেশ নিজেও। দাদু হওয়া সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন বর্ষীয়ান প্রযোজক-পরিচালক। তাঁর কাছেও এ যে বড় রোমাঞ্চের মুহূর্ত! মহেশ বলেন, ‘‘জীবন আমায় এখন খেলতে ডাকছে। রূপ-রস গন্ধে ভরে উঠতে চলেছে আমার প্রতিটি দিন! আসলে ছোটবেলায় আলিয়াও অসাধারণ ছিল। ওর মধ্যে অনন্ত প্রতিভার আভাস দেখেছিলাম। পরে গোটা পৃথিবীর কাছে নিজেই তা প্রমাণ করেছে ও। তার পরে রণবীরের সঙ্গে বিয়ের পর থেকে সুখের দিন শুরু হয়েছে আমাদের। সে-ও দারুণ ছেলে! আমি ওদের দু’জনকেই খুব ভালবাসি।’’ এমন দুই গুণী ছেলেমেয়ের সন্তান যে অনন্য প্রতিভা নিয়ে পৃথিবীতে আসবে, স্থির বিশ্বাস দাদুর।
সোমবার সকাল সকাল খুশির খবরটা জানিয়েছেন আলিয়া। আল্ট্রাসোনোগ্রাফির সময়কার একটি ছবি ভাগ করে নিয়ে লিখেছেন, ‘আমাদের সন্তান,শীঘ্রই আসছে!’ ব্যস, তার পর থেকে হইচই পড়ে গিয়েছে টিনসেল নগরীতে। ঠিক যেমন গত ১৪ এপ্রিলের আগে থেকে রণবীর-আলিয়ার বিয়ে নিয়ে তুমুল শোরগোল ছিল বলিউডে। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই এ বার দু’জন থেকে তিন জন হতে চললেন ‘রণলিয়া’। এমন সুখের মুহূর্তে নীতুও খুশিতে নাচছেন। তাঁর মনের কোণে কোথাও বিশ্বাস, বৌমার কোল জুড়ে ফিরে আসছেন ঋষিই। এমন ভরা সংসার ছেড়ে তিনিও কি আর দূরে থাকতে পারেন!
আলিয়া নিজে এখন ছবির কাজে লন্ডনে। জুলাইয়ের মাঝামাঝির আগে তাঁর দেশে ফেরার সময় নেই। শোনা যাচ্ছে, রণবীর নিজে গিয়ে তাঁকে মুম্বইয়ে নিয়ে আসবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy