(বাঁ দিকে) প্রভাস। গজেন্দ্র চৌহান (ডান দিকে)। ছবি—সংগৃহীত
বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না ‘আদিপুরুষ’-এর। প্রচার ঝলক মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই একের পর এক সমালোচনায় বিদ্ধ হয়েছে এই ছবি। ছবিমুক্তির পর তার তীব্রতা বেড়েছে।
কিছু দিন আগে রামানন্দ সাগরের ‘রামায়ণ’-এ রামের চরিত্রাভিনেতা অরুণ গোভিল সরব হয়েছিলেন ‘আদিপুরুষ’-এর বিরুদ্ধে। সম্প্রতি মুখ খুলেছিলেন লক্ষ্মণের চরিত্রাভিনেতা সুনীল লহরীও। এ বার সেই তালিকায় নতুন সংযোজন বিআর চোপড়ার ‘মহাভারত’-এ যুধিষ্ঠিরের ভূমিকায় অভিনয় করা গজেন্দ্র চৌহান। তিনি এখনই ‘আদিপুরুষ’ নিষিদ্ধ করার দাবি জানালেন।
ভিএফএক্সের দুর্বলতা, আপত্তিকর সংলাপ নিয়ে নানা সমস্যায় জর্জরিত ওম রাউত পরিচালিত ‘আদিপুরুষ’। উঠেছে হিন্দু ধর্মের ভাবাবেগে আঘাত করার অভিযোগ। জল গড়িয়েছে আদালতেও।
অভিনেতা এবং এফটিআইআই (ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া)-এর অধ্যক্ষ গজেন্দ্র জানান, তিনি টিকিট কিনেছিলেন, কিন্তু ছবিটি দেখতে যাননি প্রেক্ষাগৃহে। বিবেকে বাধছিল বলেই শেষ অবধি যাননি বলে জানান। ছবির ট্রেলার এবং ছোট কিছু ক্লিপ দেখার পর তাঁর মনে হয়েছে, এ ছবি দেখার কোনও মানেই হয় না।
তাঁর সাফ কথা, “নিজের বিশ্বাসের সঙ্গে সমঝোতা করতে পারব না। প্রভু রামকে প্রভু শ্রী রামের মতোই দেখতে চাই আমি।”
গজেন্দ্রর মনে হয়, এর পিছনে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে। তাঁর মতে, “এই সব নির্মাতারা আগামী প্রজন্মকে দুর্নীতিগ্রস্ত করে দিতে চান। নবীনদের মনে বিষ মেশাতে চান।”
যেমন ভাবে প্রয়াত গুলশন কুমার ধর্মীয় ভাবাবেগকে সম্মান জানাতেন, গুলশন-পুত্র টি-সিরিজ়ের প্রধান ভূষণ কুমারকে এই সব বিষয়গুলি তেমন ভাবেই দেখার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন গজেন্দ্র। তাঁর আশঙ্কা, ধর্মীয় মূল্যবোধ ভবিষ্যতে আর কোনও গুরুত্বই পাবে না।
বিতর্কের মুখে পড়ে নতুন করে ছবির কিছু অংশের সংলাপ লিখেছেন মনোজ মুন্তাসির। সেই প্রসঙ্গে গজেন্দ্র জানান, ক্ষতি যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে, এখন আর কিছু করা যাবে না। ছবিটিকে বর্জন করে দর্শক শাস্তি দিয়েছেন। এটা নির্মাতাদের প্রাপ্য ছিল বলেই মনে করেন গজেন্দ্র।
সেন্সর বোর্ড কেন ছাড়পত্র দিল এই ছবিকে, তা নিয়েও বিস্মিত গজেন্দ্র। তাঁর বক্তব্য, “ছবিটি মুক্তি পাওয়াই তো উচিত হয়নি! ছবিটা নিষিদ্ধ করে দেওয়া উচিত। সরকার এখনই এটা বন্ধ করে দিক।”
ছবির সংলাপ রচয়িতা মনোজ কিছুই জানেন না বলে কটাক্ষ করেন গজেন্দ্র। সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা নানা ভিডিয়ো থেকে সংলাপ সংগ্রহ করেছেন মনোজ, এমনটাই অভিযোগ গজেন্দ্রের। এখনও মনোজের আচরণে একই ধরনের জেদ, একগুঁয়েমি দেখা যাচ্ছে, যা কোনও শিল্পীর জন্যেই ভাল নয় বলে মনে করেন গজেন্দ্র।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy